এবার স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোলিং ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে আগ্রহী জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। মূলত যাতে টোল প্লাজার মাধ্যমে টোল গ্রহণের যে বিশাল পরিকাঠামো সেখানে আরও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায় তার চেষ্টা চলছে। ভারতেরও ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালুর ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এনিয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে বলে খবর। যারা এই ধরনের কাজ করতে আগ্রহী হবেন তাদেরকে বলা হবে রিয়েল টাইম স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল চার্জার সফটওয়ার চালু করতে হবে।
বর্তমানে টোল সংগ্রহের যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে সেটা হল ফাস্ট ট্যাগ ইকো সিস্টেম। এবার সেই জায়গায় GNSS চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। GNSS মানে হল গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম। প্রাথমিকভাবে যেটা করা হবে সেটা হল একটা হাইব্রিড মডেল। যেখানে ফাস্টাগ ব্যবস্থাও থাকবে। আবার জিএনএসএস ব্যবস্থাও থাকবে। একসঙ্গেই যাতে দুটি ব্যবস্থা কাজ করে তার ব্যবস্থা করা হবে।
এজন্য টোল প্লাজাতে একটি নির্দিষ্ট জিএনএসএস লেন থাকবে। ধাপে ধাপে এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা পেলে টোল প্লাজাতে একাধিক এই ধরনের লেন করা হবে। এই ধরনের লেনে সময় অনেকটাই কমবে। এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই গাড়িটি কতটা চলেছে তার উপর টোলের ব্যাপারটা নির্ভর করবে।
এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অন্তত ৯৮ শতাংশ ব্যবহারকারী টোল প্লাজাতে ফাস্টাগের( FASTag) ব্যবহার করছেন। আর ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে অন্তত ৫৪,৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে বর্তমানে ৪৫,০০০ কিমি টোলের আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছরে আরও ১ লাখ কিমিকে এর আওতায় আনার চেষ্টা করা হতে পারে।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি এনিয়ে আশার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন সেই সময়, আগামী ৬ মাসের মধ্যে হাইওয়েতে GPS চালিত টোল ব্যবস্থা চালু করা হবে। পুরনো ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন করা হবে। এমনটাই জানিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেছেন।
মূলত এর মাধ্যমে যানজট হ্রাস করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। হাইওয়েতে যাতায়াতের মাঝে যাতে টোল দিতে গিয়ে গাড়ি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে না থাকতে হয়, সেই কারণেই এই আধুনিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই ফাস্টট্যাগচালিত টোল ব্যবস্থা এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার।