আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তবে তার আগে বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই আবহে আজ নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে তাঁর সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে টমেটোর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তবে সম্প্রতি সস্তায় টমেটো বিক্রি করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এদিকে আগামীতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্যসের দাম নিয়ে তো বহুদিন ধরেই বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এরই মাঝে আজ মোদী বলেন, 'আমরা দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। এই নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
বিশ্বের সঙ্গে ভারতের তুলনা টেনে মোদী আজ বলেন, 'বিশ্ব এখনও করোনাকালের ধাক্কা থেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যুদ্ধ আরও একটি সংকটের জন্ম দিয়েছে। বিশ্ব আজ মূল্যস্ফীতির সঙ্কটে। পুরো বিশ্ব অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতির খপ্পরে পড়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা যখন আমাদের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করি, তখন আমরা মুদ্রাস্ফীতিও আমদানি করি। কিন্তু, ভারত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। কারণ আমাদের অবস্থা বাকি বিশ্বের চেয়ে ভালো। আমার দেশের নাগরিকদের ওপর যাতে মুদ্রাস্ফীতির বোঝা কমে, তার জন্য আমাকে আরও পদক্ষেপ করতে হবে। আমরা সেসব নিয়ে পদক্ষেপ নেব এবং আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। এই নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
এদিকে দেশের অর্থনীতিকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্যও আজ প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। লালকেল্লার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারত যখন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়, তখন সব কাজ সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড বলে, ২৫ বছর ধরে দেশে একটি নয়া সংসদ ভবন নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এই মোদীই সময়ের আগে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করে দিল। এটি এমন একটি সরকার যা কাজ করে। নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করে। এটাই নিউ ইন্ডিয়া। এটা এমন একটা ভারত যেটা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এই ভারত না থামে, না ক্লান্ত হয়। এটি মোদীর গ্যারান্টি যে আগামী ৫ বছরে ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির মধ্যে থাকবে।'
নিজের সরকারের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে মোদী আজ বলেন, 'আমরা জলশক্তি মন্ত্রক গঠন করেছিলাম। যাতে সবাই স্বচ্ছ পানীয় জল পায়, তার জন্য এই মন্ত্রক। আমরা আলাদা আয়ুষ ও আয়ুর্বদ মন্ত্রক গঠন করেছিলাম। আমরা আলাদা করে পশু পালন ও মৎস্য পালন নিয়ে মন্ত্রক গঠন করেছি। আমরা আলাদা কোঅপারেটিভ মন্ত্রকও গঠন করেছি। এর আগে প্রতি রাজ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হত। এখন সেই পরিমাণ ১ লাখ কোটি। গত পাঁচবছরে দেশের ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র মুক্ত হয়েছে। এর জন্য তারা আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। ২ লাখ কোটি খরচ করে সবার ঘরে জল পাঠানোর চেষ্টা করেছি। আয়ুষ্মান ভারতে ৭০ হাজার কোটি খরচ করে দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয়েছে।'