ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাওয়ের নাতি এনভি সুভাষের। সুভাষের অভিযোগ, ইচ্ছে করে নরসিমহা রাওয়ের সমাধিস্থলে যাননি রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ কংগ্রেসের অ-গান্ধী নেতাদের সম্মান দেন না রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সম্প্রতি 'বীরভূমি' (রাজীব গান্ধীর সমাধিস্থল), 'শক্তিস্থল' (ইন্দিরা গান্ধীর সমাধিস্থল), 'শান্তিবনে' (জওহরলাল নেহরুর সমাধিস্থল) গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সমাধিস্থলেও যান রাহুল। এই নিয়ে কটাক্ষ করলেন সুভাষ। সুভাষ অভিযোগ করেন, হায়দরাবাদে এসে রাহুল গান্ধী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির সামনে বক্তৃতা রেখেছেন। তবে ইচ্ছে করেই নরসিমহা রাওকে সম্মান জানাননি। পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, 'এই ভারত জোড়ো যাত্রা শুধুমাত্র একটা হাঁটার ও ব্যায়ামের জন্য করা হচ্ছে।'
সুভাষ বলেন, 'রাহুল গান্ধী দিল্লিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তা থেকেই স্পষ্ট যে তাঁর দলের অ-গান্ধী প্রবীণ নেতাদের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাটুকু নেই তাঁর মনে। যাঁরা দেশের জন্য এবং দলকে শক্তিশালী করার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি রাহুল গান্ধীর কোনও সম্মান নেই। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন, রাহুল গান্ধী স্মৃতিসৌধগুলি পরিদর্শন করে জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, এমনকি অটল বিহারী বাজপেয়ী সহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের প্রচি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছ্ন। কিন্তু অ-গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওকে শ্রদ্ধা জানাননি তিনি। ইতিহাস প্রনমাণ, অ-গান্ধী নেতারকে দল কখনই স্বীকৃতি দেয়নি। নরসিমহা রাওয়ের মৃত্যুর পরও কংগ্রেস তাঁকে যথার্থ সম্মান জানায়নি। তিনি ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী না হলে দল অস্তিত্বের সংকটে ভুগত।'
এদিকে রাহুল গান্ধীর যেভাবে ঠান্ডার মধ্যে শুধুমাত্র একটি টিশার্ট পরে ভোরবেলা প্রধানমন্ত্রীদের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়েছিলেন, তাতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাহুল গান্ধীকে 'তপস্যী যোগী' এবং রামের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার কথায়, 'রাহুল গান্ধী সুপারহিউম্যান। আমরা যেখানে শীতে কাবু হয়ে জ্যাকেট পরতে বাধ্য হয়েছি। সেখানে রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র একটি টিশার্ট পরে ভারত জোড়া যাত্রায় হাঁটছেন। তিনি এক যোগী। তিনি নিজের তপস্যায় মনোনিবেশ করেছেন।' খুরশিদ আরও বলেন, 'শ্রীরামের খড়ম জোড়া অনেক দূর দূরান্তে পৌঁছে যায়। যদি কোথাও শ্রীরাম নিজে না যেতে পারেন, সেখানে ভরত তাঁর খড়ম নিয়ে পৌঁছে যান। সেরকম ভাবেই আমরা (কংগ্রেস) উত্তরপ্রদেশে রামজির খড়ম বহন করেছি। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছে খড়ম। রামজিও (রাহুল গান্ধী) আসবেন উত্তরপ্রদেশে।' এদিক উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়া যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিএসপি প্রধান মায়াবতীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস। তবে সূত্রের খবর, তাঁরা যাত্রায় হাঁটবেন না।