মহরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে খোদ বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ে করোনা পজিটিভের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার পেরিয়ে গেল। তবে এর মধ্যে একটাই ভালো খবর। ধীরে ধীরে কেসের সংখ্যা কমছে ধারভিতে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তিতে গত এক সপ্তাহে একজনও করোনায় মারা যাননি। সোমবার অবধি মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত ৫০,০৮৫। মারা গিয়েছেন ১৭০২। শুধু সোমবারেই মারা গিয়েছেন ৬৪ জন। আনলক ১- এর আওতায় ধীরে ধীরে শহরে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে। ফলে আগামী কিছুদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পঞ্চাশ হাজার মোট করোনা আক্রান্ত হলেও এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৬,৩৪৫। এখনও পর্যন্ত শহরে নয়া কেস দ্বিগুণ হচ্ছে ২৩ দিনে। প্রায় ২.৩ লক্ষ টেস্ট করা হয়েছে মুম্বইয়ে। এর মধ্যে ২১.১১শতাংশ কেসে করোনা ধরা পড়ছে। এই শতাংশটি জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। যার ফলে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্তের আসল সংখ্যা এখনকার সংখ্যার চেয়ে হয়তো বহুগুণ বেশি, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে শহরে ৭৭৫টি কনটেনমেন্ট জোন আছে। প্রায় ২৯ হাজার সম্ভাব্য করোনা রোগী এই মুহূর্তে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে ধারাভি নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন মহারাষ্ট্র সরকার ও বিএমসি। ধারাভিতে মোট ১৯০০ জনের করোনা হয়েছে যার মধ্যে ৯৩৯ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। গত সাতদিনে নয়া মৃত্যুর খবর নেই। প্রতিদিনই কমছে নয়া কেসের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায়। সোমবার ১২টি পজিটিভ কেস রিপোর্ট হয়েছে সেখানে। ধারাভিতে করোনায় মারা গিয়েছেন ৭১ জন এখনও পর্যন্ত। অ্যাসিসটেন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার কিরণ দিঘাভকর জানিয়েছেন যে ফিভার ক্যাম্প চালিয়ে সন্দিগ্ধদের বাকিদের থেকে সরিয় করোনার ওপর কাবু মিলেছে।ভবিষ্যতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধারাভিতে খুব একটা বাড়বে না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন। ধারাভি ছাড়াও মধ্য মুম্বইয়ের ওয়ারলি, যেটা একসময় করোনা হটস্পট হয়ে উঠেছিল, সেখানে প্রভাব অনেকটাই স্তিমিত।