ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে মশা, মাছি। আবার অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রী তৈরির জায়গায় পড়ে রয়েছে মরা টিকটিকি। তেলাঙ্গানায় এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার একটি দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালায় রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনের টাস্ক ফোর্স। তাতেই এবিষয়টি সামনে আসে। এছাড়াও, অভিযোগ উঠেছে সংস্থা ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলছে না। ঘটনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে মৃত টিকটিকি! অসুস্থ ৪ শিশু, আটক কর্মী
জানা গিয়েছে, গত শনিবার টাস্ক ফোর্স বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেখানেই এই সমস্ত উদ্বেগজনক ছবি সামনে আসে।তেলেঙ্গানার খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার জানিয়েছেন, খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিচালনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। পরিদর্শনে একাধিক পরিকাঠামোগত ত্রুটি সামনে এসেছে। যেমন কোথাও ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে, কোথাও কোল্ড স্টোরেজ ঠিক জায়গায় নেই। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। আবার দুগ্ধজাত খাদ্য তৈরির জায়গায় মাছি এবং মশা সহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি জায়গায় আবার মরা টিকটিকিও পাওয়া গিয়েছে। ছাদে মাকড়সার জালও দেখা গিয়েছে, যা একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
জানা গিয়েছে, টাস্ক ফোর্স অভিযানের সময় অপরিষ্কার এবং মরচে ধরা সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছে। তাতে রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই সব খাদ্য সামগ্রী তৈরির কাঁচামাল নোংরা জায়গায় পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রেও ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, অভিযানের সময় আধিকারিকরা ৭২০ কেজি নষ্ট হয়ে যাওয়া দই উদ্ধার করে। তাতে ছত্রাক থাকায় সেগুলি ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়াও, লেবেলিং ত্রুটি এবং নিম্নমানের সন্দেহে ১৭০০ কেজি দই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। টাস্ক ফোর্স জনিয়েছে, যে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (এফএসএস) অ্যাক্ট ২০০৬ এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১১-এর অধীনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তেলাঙ্গানার ফুড সেফটি কমিশনার নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য জানিয়ে বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর ছবি শেয়ার করেছেন।