প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে ভারতের নিজস্ব অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেওয়া হবে। উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে এক জোরালো ভাষণে মোদী ঘোষণা করেন, ‘ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউতে তৈরি করা হবে... এবং যদি পাকিস্তান আবার কোনও পাপ করে, তাহলে উত্তর প্রদেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করবে।’
প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রশংসা করে বলেন, 'অপারেশন সিন্দুরের সময়, বিশ্ব, আমাদের নিজস্ব অস্ত্রের সক্ষমতা দেখেছিল। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন 'আত্মনির্ভর ভারত', বিশেষ করে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি প্রমাণ করেছে।' মোদী বলেন, 'পাকিস্তানে, 'ব্রহ্মোস' নামটি শুনলেই তাদের রাত জাগা শুরু হয়!'
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বড় প্রতিরক্ষা সংস্থা উত্তর প্রদেশে প্রতিরক্ষা করিডোরে তাদের উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে। ভারতে তৈরি অস্ত্র শীঘ্রই আমাদের বাহিনীর শক্তি হয়ে উঠবে।’ প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতীয় ঐক্য এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সমস্ত দেশ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে এবং সেই কারণেই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
বারাণসীর মাটি থেকে এদিন মোদীর ভাষণে উঠে আসে ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি। ভাষণে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বারাণসীর সাংসদ নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’ তিনি জাতির অর্থনৈতিক লক্ষ্যের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যেরও আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'যারা দেশের জন্য সর্বোত্তম চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দেখতে চান, তা যেকোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত তাদের মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে ‘স্বদেশী’ পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।'