কোরান পোড়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে আসল না পরিস্থিতি। থানায় ঢুকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে শাস্তি দিল উত্তেজিত জনতা। শুধু তাই নয়, বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপরেও গুলি চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা। কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াতের মাদিয়ান এলাকায়।
আরও পড়ুন: কোরান পোড়ানো ইরাকির মৃত্যু হয়েছে নরওয়েতে? কে এই ‘ইসলাম বিরোধী’ সালওয়ান?
কী ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত কোরানের কিছু পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। শিয়ালকোট জেলার মহম্মদ ইসমাইল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোরানের পাতা পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু, কোরান পোড়ানোর খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কোরানের অবমাননাকর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জনতা। এরপর ইসমাইলকে শাস্তি দিতে চেয়ে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। তারা অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে পুলিশকে। কিন্তু, তা না করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বাধা পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পালটা পুলিশও গুলি চালায়। দুপক্ষের গুলি বিনিময়ে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তারপরও পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতাকে আটকাতে পারেনি। তারা থানার ভিতরে ঢুকে ইসমাইলকে গুলি করে হত্যা করে এবং থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ইসমাইলের মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে মাদিয়ানে ঝুলিয়ে দেয়।