
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
স্ত্রী ও শ্বশুরের সাহায্যে নাবালিকা বোনকে খুন করে, তার দেহ পোড়ানোর পরে কবর দিল এক যুবক। ঘটনার ১৫ দিন পরে গত ২৪ ডিসেম্বর নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজধানী আগরতলা থেকে ১২৯ কিমি দূরে দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়ার ভৈরবনগরের ঘটনায় লিটন মুন্ডা, তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীমণি মুন্ডা ও শ্বশুর পরিমল মুন্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লক্ষ্মীমণি ও তাঁর বাবা পরিমল মুন্ডাকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। লিটনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে রবিবার আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গোমতী জেলার উদয়পুরের মুরাপাড়ার বাসিন্দা নিহত ষোড়শী প্রতিমা মুন্ডা অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। তবে পুলিশ এই দাবির সপক্ষে কিছু জানায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দাদা-বৌদির সঙ্গে ভৈরবনগরে পরিমলের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রতিমা। কিছু দিন পরে লিটন ও তার স্ত্রী মুরাপাড়ায় নিজেদের বাড়ি ফিরে আসে। ২৪ ডিসেম্বর ভৈরবনগরের কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে কিশোরীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার করার পরে পুলিশে খবর দেন।
বেলোনিয়ার এসডিও সৌম্য দেববর্মা জানিয়েছেন, ‘দেহটি যে হেতু তার বাড়ির কাছাকাছি জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল, সেই কারণে তদন্তে নেমে আমরা পরিমল মুন্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে আমরা লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে এসে দেহটি তার বোনের বলে শনাক্ত করে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গত ২৪ ডিসেম্বর পিআর বাড়ি থানায় এই তিন জনের বিরুদ্ধে প্রতিমাকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন পরিমলের পুত্রবধূ মণিকা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে লিটন, লক্ষ্মীমণি ও পরিমলকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে কী কারণে কিশোরীকে খুন করা হয়েছে, তাই নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে লিটনকে জেরা করে সূত্র বের করার চেষ্টা চলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে তদন্তে অগ্রগতি ঘটবে বলে আশা পুলিশের।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports