গত মাসে কেরল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের জাস্টিস পিবি সুরেশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোভিডের প্রথম ডোজের চার সপ্তাহের পর কেউ যদি তাড়াতাড়ি কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে চান তবে তাঁকে দেওয়া যেতে পারে। কোচির একটি বস্ত্র কারখানার আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছিল কেরল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের আগের রায়ের উপর সোমবার ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি। অন্তর্বর্তী রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিতে না চেয়ে চিফ জাস্টিস এস মণিকুমার ও জাস্টিস সাজি পি চালে আগামী বৃহস্পতিবারে ফের শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। আদালত সূত্রে খবর, ওই সংস্থা তাদের ৫ হাজার কর্মীকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য ৮৪দিনের সময় সীমা কমানোর আবেদন করে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিল। তবে সরকার পক্ষের তরফে দাবি করা হয়, ভ্যাকসিন পলিসিতে পরিবর্তন আনলে মেডিক্যাল টিমের পরামর্শ লাগবে। তাছাড়া এভাবে আগে টিকা দিলে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে ফের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করতে হবে। দেশব্যপী যে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলছে তা বেলাইন হয়ে যাবে বলেও কেন্দ্র জানিয়েছিল। টিকার কমতি আছে বলে দুটি ডোজের মধ্যে ৮৪দিনের বিরতি রাখতে বলা হচ্ছে এমনটা নয়। খোলসা করে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।