ঘটনা শুনে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। বাড়ির অমতে বিয়ে করার জেরে দিদির গলা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরপর মাকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাটা মাথার সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর সেলফি তুলেছিল বলে অভিযোগ। সোমবার ওই কিশোরকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিল ঔরঙ্গাবাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। অভিযুক্ত মাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। যে মোবাইলে কাটা মাথার সঙ্গে সেলফি তোলা হয়েছিল সেটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে অভিযুক্তরা ওই সেলফিটি ডিলিট করে দিয়েছে। পুলিশ সুপার নিমিত গোয়েল জানিয়েছেন, দিদি যখন চা তৈরি করছিল তখনই তার গলা কেটে দেওয়া হয়। ভাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ভাই ও মা ওই কাটা মাথার সঙ্গে সেলফিও তুলেছিল বলে জানা গিয়েছে। ফোনটিকে ফরেনসিক বিশ্লেষনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মুছে দেওয়া ছবিটি উদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পরে ভিয়াজাপুর থানায় দুজনের আত্মসমর্পণ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জুনিয়র কলেজে ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর আলাপ হয়েছিল। এরপরই তারা বিয়ে করেন। জুন মাসে তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। ২১শে জুন তারা বিয়ে করেছিলেন। এরপর তারা পুলিশের সঙ্গেও দেখা করেন। লড়গাঁওতে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে থাকতেন। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার জামার মধ্যে একটি কাস্তে নিয়েই তারা দিদির বাড়িতে গিয়েছিল ভাই। মা আর ভাইকে দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন তরুণী। এরপর দুজনের জন্য তিনি চা করতে যান। আর তখনই ধারলো কাস্তে দিয়ে দিদির গলা নামিয়ে দিয়েছিল ভাই। অভিযোগ এমনটাই।