বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Court on whistling: শুধু আওয়াজ করলে যৌন অভিপ্রায় প্রমাণ হয় না, ব্যক্তির ‘সিটি দেওয়া’ কেসে বলল আদালত
পরবর্তী খবর
Court on whistling: শুধু আওয়াজ করলে যৌন অভিপ্রায় প্রমাণ হয় না, ব্যক্তির ‘সিটি দেওয়া’ কেসে বলল আদালত
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 25 Jan 2023, 08:59 PM ISTAyan Das
Court on whistling: বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে যে 'কোনও ব্যক্তি নিজের বাড়িতে স্রেফ কোনও আওয়াজ করেছেন বলে আমরা বলতে পারি না যে মামলাকারীর উদ্দেশ্যে যৌন অভিপ্রায় নিয়ে করেছেন।'
শুধু আওয়াজ করলে যৌন অভিপ্রায় প্রমাণ হয় না, ব্যক্তির ‘সিটি দেওয়া’ কেসে বলল আদালত। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)
শুধুমাত্র আওয়াজ করলেই বলা যায় না যে যৌন অভিপ্রায় নিয়েই সেই কাজটা করা হয়েছে। একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করল বম্বে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অভিযুক্তের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়েছে। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইনের ধারায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদমাধ্যম 'লাইভ ল'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে যে 'কোনও ব্যক্তি নিজের বাড়িতে স্রেফ কোনও আওয়াজ করেছেন বলে আমরা বলতে পারি না যে মামলাকারীর উদ্দেশ্যে যৌন অভিপ্রায় নিয়ে করেছেন।' তাই প্রাথমিকভাবে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি আইনের ৩ (১) (ডব্লুউ) (২) ধারা তাঁর বিরুদ্ধে কার্যকর হয় না।
কোন বিষয়ে মামলা হয়েছিল? এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর প্রতিবেশী এক ব্যক্তি তাঁর দিকে এমনভাবে তাকাতেন, যাতে তাঁর সম্ভ্রম রক্ষা পায়নি। শুধু তাই নয়, রাতে মোবাইলে ওই ব্যক্তি তাঁর ভিডিয়ো করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, ছাদ থেকে লাগাতার সিটি দিতেন অভিযুক্ত। গাড়ির হর্ন দিতেন। সেইসঙ্গে তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন মহিলা। তাতে মহিলা ও তাঁর বাড়ির দারোয়ান আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি ছিল, ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। ওই অভিযোগের প্রতিশোধ নিতে মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই মামলার প্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, যখন কোনও আইন মেনে চলা ব্যক্তি থানায় গিয়ে আইনি সাহায্য নিতে চান এবং তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করে না পুলিশ, তখন সেই ব্যক্তিকে সুরক্ষাকবচ দেওয়া উচিত। সেইসঙ্গে ওই মহিলা দেরিতে কেন মামলা করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।