২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। তার আগে একেবারে সাজো সাজো রব। তবে এই রামমন্দির তৈরির আগে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলেছে। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ আইনি লড়াইয়ের অন্যতম ছিলেন ইকবাল আনসারি। তিন বছর ধরে তিনি কোর্টে লড়াই চালিয়েছিলেন। তবে সেই ইকবালকে এবার আমন্ত্রণ করল রামমন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে তিনিই মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াইতে নেমেছিলেন।
জুম্মাবার উপলক্ষ্যে মসজিদে গিয়েছিলেন ইকবাল। তবে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের টিম। পরে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্যরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। প্রসঙ্গত এর আগে ২০২০ সালের ৫ অগস্ট ভূমিপূজনের সময়তেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পরে ইকবাল সংবাদমাধ্য়মের সামনে জানিয়েছেন, মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র দিন হল শুক্রবার। শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে এতে অত্যন্ত খুশি আমি। আমরা মুসলিমরা শ্রীরামকে ইমাম-ই-হিন্দ বলে মনে করি। সেক্ষেত্রে এই উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি।
কার্যত রামমন্দির উদ্বোধনের আগে গোটা দেশজুড়েই চলছে উন্মাদনা। এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্য়ায় গিয়েছিলেন তখন ইকবালকে দেখা গিয়েছিল তিনি ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কাছে। সেদিনও তিনি রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে তাঁর খুশির কথা প্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত ইকবালের পিতা ছিলেন হাশিম আনসারি। তিনি এই বিতর্কিত জমি নিয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে পুত্র ইকবাল এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যান।
আনসারি জানিয়েছিলেন, মোদী অযোধ্য়া দর্শনে এসেছিলেন। এটা অত্যন্ত ভাগ্যের। খবর নিউজ এজেন্সি এএনআই সূত্রে।
আনসারি পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমি মোদীজির গাড়ি যখন আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখন গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়েছি। আমার পরিবারও উপস্থিত ছিল।
বাস্তবিকই সেদিন তিনি গোলাপের পাপড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাস্তায়।
এদিকে আগে অযোধ্য়ার মুসলিমদের একাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মসজিদকে তারা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাবেন না।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্য়ার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিল Supreme Court। একটি ট্রাস্টের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গেই অযোধ্য়াতেই বিকল্প পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরির জন্য় জমি দেখার কথাও বলা হয়েছিল।