অবাধ বাণিজ্য নিয়ে এবার আলোচনা শুরু করল ভারত ও তাইওয়ান। তাইওয়ানের সহযোগিতায় দেশে একটি সেমিকন্ডাকটর হাব তৈরির ব্যাপারেও চেষ্টা চলছে। মোবাইল থেকে গাড়ি সর্বত্রই চিপের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আর তারই নিরিখে এবার সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির পরিকল্পনা। সেই কথাবার্তা কিছুটা এগিয়েছে। ইতিমধ্যে দুপক্ষের তরফে চারটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে যারা মূলত সেমিকন্ডাক্টর হাব তৈরির উপর জোর দেবে। এই শিল্পের জন্য মানব সম্পদ তৈরির উপরেও জোর দেবে দুপক্ষ। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্য়াপারেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গত অগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ভার্চুয়ালি দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। প্রস্তাবিত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে তাঁদের মধ্যে। তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থা তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি ও ইউনাইটেড মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশনকে ভারতে আনার ব্যাপারেও চেষ্টা চলছে। ভারত ইতিমধ্যেই শিল্প স্থাপনের জন্য় একাধিক জায়গা দেখেছে। তবে দুপক্ষের মধ্য়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। তাইওয়ানের একটা বড় কোম্পানি অন্তত আরও ১০০টি অনুসারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। সকলকে বুঝিয়ে রাজি করানো কি সহজ কথা ! যদি এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয় তবে তাইওয়ানের কোনও কোম্পানি দ্বিতীয়বারের জন্য় বিদেশে তাদের উৎপাদনকারী ইউনিট তৈরি করবে। তবে তাইওয়ানের উপর নানাভাবে চাপ বাড়াচ্ছে চিনি। সেক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করে পালটা চিনকে চাপে রাখতে পারবে তাইওয়ান। এমনটা মত ওয়াকিবহাল মহলের।