বাদাখশান প্রদেশের তালিবানের তথ্য ও সংস্কৃতির দফতরের প্রধান জাবিউল্লাহ আমিরি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে যাত্রীবাহী বিমানটি তোপখানেহ পর্বতে ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে।
আফগানিস্তানে দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় বিমান (প্রতীকী ছবি)
আফগানিস্তানে ভেঙে পড়ল মস্কোগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার সকালে বাদাখশানের ওয়াখান অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমানটি। বাদাখশান প্রদেশের তালিবানের তথ্য ও সংস্কৃতির দফতরের প্রধান জাবিউল্লাহ আমিরি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তালিবানের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিমানটি ভারতীয় ছিল। তবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক থেকে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি আদতে মরোক্কোয় রেজিস্টার্ড। (আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে ৮ যাত্রীর মারামারি! ভিন দেশে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হল বিমান)
স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে যাত্রীবাহী বিমানটি তোপখানেহ পর্বতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। করণ, মানজান এবং জিবাক জেলা জুড়ে এই পর্বত বিস্তৃত রয়েছে। এই বাদাখশান প্রদেশ হল চিন, তাজাকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা ঘেঁষা। তালিবান আধিকারিক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্ত করতে সেই এলাকায় একটি দলকে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি সূত্র থেকে কোনও হতাহত বা দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
এদিকে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থার সকল মস্কোগামী বিমান বিগত দিনে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি হয়ত চার্টার্ড উড়ান ছিল। এমনিতেই বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তর ভারত জুড়ে কুয়াশা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানের টেকঅফ এবং অবতরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আফগানিস্তানের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ ছিল, নাকি বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। উক্ত বিমানে যাত্রী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও তাতে কে ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে বিমান দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, ভেঙে পড়া বিমানটি ভারতীয় নয়। এদিকে রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটি ভারত থেকে মস্কো যাচ্ছিল। এদিকে বিমানে কোনও ভারতীয় নাগরিক ছিলেন কি না, সেটাও স্পষ্ট হয়নি এখনও। কেন্দ্রীয় সরকারও এই নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি।