ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে এবার লাওস থেকে ৬৭ জন ভারতীয়কে সেখানের সাইবার জালিয়াতি (স্ক্যাম) সেন্টারগুলি থেকে উদ্ধার করা হল। তারা লাওসের বোকেএ প্রভিন্সের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন-এ কর্মরত ছিল বলে জানা যায়। তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সেখানে ‘ভয়ের মুখে’ কাজ করতে বাধ্য করা হত বলে খবর।
উদ্ধার হওয়া ওই ৬৭ জনকে এবার দেশে ফেরানোর জন্য শুরু হয়েছে উদ্যোগ। এর জন্য যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে, বলে খবর। উদ্ধার হওয়া ভারতীয়দের জন্য খাবার ও বাকি জিনিসের ব্যবস্থাপনা চলছে ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্বে। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে স্থানীয় লাওস কর্তৃপক্ষ। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রশান্ত আগরওয়াল ওই ৬৭ জনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের জানানো হয়, সমস্ত দিক থেকে তাঁরা ভারতীয় দূতাবাসের সমর্থন পাবেন। তাঁদের নিরপদে দেশে ফেরানো এখন ভারতীয় দূতাবাসের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রশান্ত আগরওয়াল জানান, দেশে ফিরে গিয়ে ওই যুবকদের এখন কী করণীয়, সেবিষয়ে। তিনি তাঁদের পরামর্শ দেন, যে এজেন্টরা তাঁদের প্রতারণা করেছেন, সেই এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন দায়ের করা হয়। এপর্যন্ত এমন প্রতারণার ফাঁদ থেকে ভারতীয় দূতাবাস ৯২৪ জনকে উদ্ধার করেছে। তাঁদের থেকে ৮৭৫ জন ভারতে ফিরতে পেরেছেন।
ভারতীয় দূতাবাস জানাচ্ছে, 'জিটিএসইজেড-এ সক্রিয় অপরাধ সিন্ডিকেটগুলি তাদের আওতায় ভয় দেখিয়ে, গালমন্দ করে এই যুবকদের জোর করিয়ে কাজ করাত।' এছাড়াও কীভাবে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে, তা সম্পর্কেও অবহিত করেছে ভারতীয় দূতাবাসের প্রেস রিলিজ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় যুবক, তাঁকে হয়তো থাইল্যাল্ডে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পৌঁছতেই তাঁকে যেতে বলা হয়েছে চিয়াং রাইয়ের রাস্তা ধরে থাই-লাও সীমান্তে। এই মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে, এমনটা হলে, স্পষ্ট ইঙ্গিত যে তাঁকে লাও পিডিআর-র জিটিএসইজেড-এ পাচার করা হচ্ছে।’ এছাড়াও ভারতীয় দূতাবাস বলছে, ‘জিটিএসইজেড-এ পৌঁছতেই তাঁদের পাসপোর্ট নিয়ে চলে যাবে ক্রিমিনাল সিন্ডিকেট, তাঁদের জোর করিয়ে একটি ‘ওয়ার্ক কন্ট্র্যাক্ট’ স্বাক্ষর করানো হবে বিদেশি ভাষায়। যার হাত ধরে তাঁরা শোষণের শিকার হওয়ার মতো বিপদে পড়তে পারেন।’