সম্প্রতি মলদ্বীপের বিরোধীরা দাবি করেন, শীঘ্রই তারা মলদ্বীপের সংসদে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনতে চলেছে। উল্লেখ্য, সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল এমডিপি বর্তমানে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই আবহে সেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি কী ভাবছে?
মহম্মদ মুইজ্জু
ভারতের সঙ্গে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে মলদ্বীপের। একদা বন্ধ মলদ্বীপ এখন দিল্লিকে 'দেখতে পারছে না'। এরই মধ্যে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু গদিচ্যুত হতে পারেন। সম্প্রতি মলদ্বীপের বিরোধীরা দাবি করেন, শীঘ্রই তারা মলদ্বীপের সংসদে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনতে চলেছে। উল্লেখ্য, সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল এমডিপি বর্তমানে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই আবহে সেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি কী ভাবছে? বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়ালকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করেন বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক। রন্ধীর স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'এটা মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।' (আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝে মলদ্বীপের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল ৫০ শতাংশ! খরচের অঙ্ক জানেন কত?)
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সেদেশের তিন মন্ত্রী। এই আবহে তিনজনকেই পদ খোয়াতে হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক ওঠে ভারতে। এক সময়ে মলদ্বীপে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক যেত ভারত থেকে। সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে অবশ্য দেখা যায়, সেদেশে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা এতটাই কমেছে যে তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যেই নেই ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে মলদ্বীপের। একদা বন্ধু মলদ্বীপ এখন ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে। ভারত বিরোধিতা করেই সেদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার করেছিলেন মুইজ্জু। আর দিল্লিপন্থী ইব্রাহিম সোলিহকে হারিয়ে মসনদ দখল করেন তিনি। আর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতকে তোপ দেগে চলেছেন তিনি।
মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস ইসলামি কট্টরপন্থার নীতি মেনে রাজনীতি করে। এই আবহে গতবছরের চিন সফর সেড়ে গত সপ্তাহে দেশে ফিরেই ভারতকে তোপ দেগেছিলেন মুইজ্জু। ভারতের নাম না করেই তিনি বলেছিলেন, 'যে কেউ মলদ্বীপকে এসে বকাঝকা করে যেতে পারে না। আমরা এই সাগরের ছোট দ্বীপ হতে পারি, কিন্তু আমাদেরও প্রায় ৯ লাখ বর্গ কিমির অর্থনৈতিক জোন রয়েছে। এই সমুদ্র কোনও এক নির্দিষ্ট দেশের নয়।' এই সবের মাঝেই আবার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন মুইজ্জু। তবে দিল্লি তাতে আগ্রহ দেখায়নি। এই কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মুইজ্জুর গদি বেশ টালমাটাল।