দাবি করা হয়েছে, যাতে মণিপুরের অশান্তি থামাতে এবার রাষ্ট্রপকির হস্তক্ষেপের দাবি বিরোধী নেতা নেত্রীদের। উল্লেখ্য, সংসদ থেকে দেশের জাতীয় রাজনীতি, মণিপুরের জাতি দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়া করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
মণিপুর নিয়ে বিরোধীরা ক্রমাগত চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে শাসক শিবিরের উপর। সুর চড়া করে এবার মণিপুরের হিংসা নিয়ে স্মারকলিপি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করল INDIA জোট। জোটের প্রতিনিধি দল এদিন দেখা করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, যাতে মণিপুরের অশান্তি থামাতে এবার রাষ্ট্রপতি খোদ হস্তক্ষেপ করেন। উল্লেখ্য, সংসদ থেকে দেশের জাতীয় রাজনীতি, মণিপুরের জাতি দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়া করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
ইতিমধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ উঠে এসেছে দেশের সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এর আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি তুলে ধরেন হিংসায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও গ্রেফতারির হালহকিকত নিয়ে। মঙ্গলবারই দেশের প্রধান বিচারপতি মণিপুর হিংসা নিয়ে তদন্তের গতিকে 'অলস' বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর গতিতে চলছে তদন্ত। তিনি সলিসিটার জেনারেলকে প্রশ্ন করেন যে, ৬৫০০ টি এফআইআর-এর মধ্যে কতগুলি এফআইআর শারীরিক ক্ষতি, সম্পত্তি ধ্বংস, ধর্মীয় স্থান ও বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন , ধর্ষণের মতো গুরতর অপরাধের নিরিখে দায়ের হয়েছে? মামলাগুলির তদন্ত দ্রুত গতিতে করার নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে, সদ্য INDIA জোটের তরফে মণিপুর ইস্য়ুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক তোপ দেগেছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত।' এরই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে পারেন, মণিপুরে যেতে পারেন না। শান্তি এবং আলোচনার মধ্যে দিয়ে সব কিছু সম্ভব হয়। প্রধানমন্ত্রী না পারলে আমাদের দায়িত্ব দিন। আমরা শান্তি ফেরাব মণিপুরে।'
রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ INDIA জোটের প্রতিনিধিদের।
এদিকে, মণিপুর নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা। মণিপুরে হিংস নিয়ে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংসদে আলোচনা হবে ৮ আগস্ট। আর ১০ আগস্ট দেশের সামনে এই ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ৫০জন সদস্যের সমর্থন থাকার পরই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রসঙ্গত, ২০ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকেই বিরোধীরা চড়া করেছে সুর। তারপর রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে INDIA জোট পেশ করল স্মারকলিপি।