অনিরুদ্ধ ধরআল কাদির ট্রাস্ট মামলায় দু সপ্তাহের জন্য় জামিন পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদ হাই কোর্ট এই রায় দিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল এই গ্রেফতারি ছিল অবৈধ। আর তারপরের দিনই জামিন পেলেন ইমরান।তেহেরিক ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। বয়স ৭০ বছর। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ আদালতের বাইরে তাঁকে একেবারে টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর গোটা পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। প্রতিবাদ আন্দোলন।তবে এই রায় ঘোষণার পরেও আদালতেই ছিলেন ইমরান। কারণ তাঁর আইনজীবীরা চেষ্টা করছেন যাতে তাঁকে ফের অন্য় মামলায় গ্রেফতার দেখানো না হয়। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অন্য় একাধিক দুর্নীতির মামলা চলছে। ইমরানের প্রধান আইনজীবী বাবর আওয়ান জানিয়েছেন, এই রায়ে অত্যন্ত খুশি। ইমরান খান বর্তমানে একজন মুক্ত মানুষ।এদিকে ইমরান খানের জামিনকে ঘিরে সেই দেশে কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই এখন দেখার।তবে ইমরানের গ্রেফতারির পর থেকেই গোটা পাকিস্তান জুড়ে কার্যত আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল। ইমরান অনুগামীরা দলে দলে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। বহু সরকারি সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু দোকানে লুঠপাট চলেছে। গন্ডগোল থামাতে হিমসিম খায় পুলিশ। বিশাল বাহিনী নামানো হয় পাকিস্তান জুড়ে। তারপরেও অশান্তি থামেনি। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।এদিকে সূত্রের খবর, এই হিংসার ঘটনায় সব মিলিয়ে ১০জন ইমরান অনুগামীর মৃত্যু হয়। প্রায় ২০০জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবার পাক সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেফতারি নিয়ে তারপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইমরান খানের গ্রেফতারি বেআইনি। সেই সঙ্গে পাক সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাই কোর্টকে জানানো হয়েছিল ইমরানের গ্রেফতারি সংক্রান্ত বিষয়টি আরও একবারে বিবেচনা করা হোক।সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়কে তাঁরা শ্রদ্ধা করেন। এদিকে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল হাইকোর্ট যদি তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তবে ইমরানকে আবার গ্রেফতার করা হবে।ইতিমধ্য়েই সূত্রের খবর, লাহোর পুলিশের টিম ফের ইমরান খানকে গ্রেফতার করার জন্য রওনা দিয়েছে। এবার জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।