আসবাবপত্র বিক্রি করা সুইডিশ ব্র্যান্ড আইকিয়া ২০২৫ সালের ১ মার্চ থেকে দিল্লি-এনসিআরে অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা চালু করতে চলেছে। এছাড়াও উত্তর ভারতে আরও ৯টি শহরে অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা চালাবে আইকিয়া। সেই সব শহরগুলি হল - আগ্রা, প্রয়াগরাজ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, জয়পুর, কানপুর, লখনউ, লুধিয়ানা এবং বারাণসী। আইকিয়া ইন্ডিয়ার সিইও এবং চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সুজান পুলভেরার ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি ইভেন্টে বলেন, এই অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবাটি শুরু করার জন্য সংস্থাটি ৫০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি মোতায়েন করবে। (আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ায় রেললাইনের পাশে পড়ে প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরের দেহ, তদন্তে GRP)
আরও পড়ুন: ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ল চলন্ত লোকালে, পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি
এই আবহে গ্রাহকরা আইকিয়া অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং ফোন সহায়তার মাধ্যমে সাত হাজারেরও বেশি পণ্যের থেকে নিজের পছন্দ মতো কেনাকাটা করতে পারবেন। ভারতের হায়দরাবাদে প্রথম স্টোর খুলেছিল আইকিয়ার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাজারে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের আগেই দিল্লি এনসিআর-এ প্রায় ১ লক্ষ গ্রাহক আইকিয়ার কমিউনিটির অংশ হওয়ার জন্য সাইন আপ করেছেন। এদিকে চলতি সপ্তাহেই গুরগাওঁতে সংস্থার প্রথম সেন্ট্রালাইজড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার চালু করেছে আইকিয়া। ১ লাখ ৮০ হাজার বর্গ ফুটের এই সেন্টারেই একদিকে থাকবে বিশাল স্টোর, অপরদিকে থাকবে ই-কমার্সের গোডাউন। (আরও পড়ুন: এমন ঘটনা কি আগেও ঘটেছে? পুনেতে বাসে পড়ে একাধিক কন্ডোম, অন্তর্বাস, মদের বোতল!)
আরও পড়ুন: ৬ দিনে দ্বিতীয়বার কলকাতায় দাম কমল সোনার, জানুন হলুদ ধাতুর আজকের রেট
এর আগে ২০২৪ সালে সুজান পুলভেরা দাবি করেছিলেন, হায়দরাবাদ, দিল্লির মতো শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের অন্যান্য প্রান্তেও দোকান খোলার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁদের সম্প্রসারণের তালিকায় কলকাতাও আছে। তবে সেই পরিকল্পনা কতদূর এগিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এমনিতে ১১ বছর আগে ভারতের বাজারে প্রবেশ করেছিল আইকিয়া। সেইসময় ১০,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ১০ বছরে ১০টি স্টোর খোলার নকশা তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও ১৫টি স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছে আইকিয়া। সেইমতো ২০১৮ সালের অগস্টে হায়দরাবাদে প্রথম দোকান খুলেছিল তারা। তাছাড়া মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতেও স্টোর খুলেছে আইকিয়া। ওই তিন শহর মিলিয়ে মোট ৭,০০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছে সুইডিশ আসবাবপত্র সংস্থা। এই আবহে একবছর আগে সুজান বলেছিলেন, ‘এনসিআর ছাড়াও পুণে এবং চেন্নাই নিয়ে আগ্রহ আছে। আমাদের নজরে আছে কলকাতাও। তবে ধাপে-ধাপে সেই পদক্ষেপ ফেলা হবে।’