এই তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর তদন্ত জারি রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই তিনজনকে ধরে ফেলা গিয়েছে। ডেটিং অ্যাপ খুলে এভাবেই প্রতারণা করত তারা। এবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযোগকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছানবিন করেই এই তিনজনের নাগাল পাওয়া যায়।
দিল্লি পুলিশ।
ডেটিং অ্যাপে সাড়া দিয়ে মারধর খেতে হল এক নাপিত তথা হেয়ারড্রেসারকে। শুধু তাই নয়, মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। ওই নাপিতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ৭৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার পর্যন্ত করা হয়। আর এই কথা চাউর করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। ওই নিপীড়িতকে তিনজন মিলে মারধর করে এবং টাকাকড়ি লুঠ করে বলে অভিযোগ। এই তিনজনের মধ্যে একজন নাবালকও ছিল বলে অভিযোগ। দক্ষিণ দিল্লির সঙ্গম বিহারের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিষেক ভাদানা এবং আমন সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর নাবালককেও আটক করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় ওই অভিযোগকারী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে সকলকে ধরে ফেলে পুলিশ। এই বিষয়ে ডিসিপি (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান জানান, ২২ বছরের ওই হেয়ারড্রেসার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানান, ১১ ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সঙ্গে ডেটিং অ্যাপে একজনের পরিচয় হয় ৮ ডিসেম্বর। তখন নির্দিষ্ট একটি জায়গা ঠিক হয় দেখা করার জন্য। তবে দেখা করার জায়গাটি ছিল একজনের বাড়ি। আর সেখানেই ঘটনাটি ঘটে।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দেখা করার পর বাড়ির মধ্যেই তাঁরা সহবাসে লিপ্ত হয়। আর সঙ্গমরত অবস্থায় হঠাৎ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে দু’জন। আর সহবাসের ঘটনা ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই তিনজন মিলে মারধর করতে থাকে হেয়ারড্রেসারকে। আর মোবাইল জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে পাসওয়ার্ড বলতে বাধ্য করা হয়। তারপর ওই মোবাইল থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ৭৫ হাজার টাকা ট্রান্সফারও করা হয়। সেটাই থেকে যায় মোবাইলে। যার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নেমে তিন দুর্বৃত্তকেই ধরে ফেলে।
এছাড়া এই তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর তদন্ত জারি রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই তিনজনকে ধরে ফেলা গিয়েছে। ডেটিং অ্যাপ খুলে এভাবেই প্রতারণা করত তারা। এবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযোগকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছানবিন করেই এই তিনজনের নাগাল পাওয়া যায়। আর এক মুহূর্ত দেরি না করে সকলকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার এই হানা দেওয়া হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।