বাজেট নথি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ এবং শহর) জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগের বছরে যেখানে এই প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৭৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। এবছর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এর আগে দেশের মধ্যবিত্তদের মন জয়ের জন্য বাজেটে বিশেষ নজর দেওয়া হল। এই আবহে এবাররের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য নয়া গৃহায়ণ প্রকল্প চালুর ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে বাজেট প্রস্তাব পেশের সময় সংসদে নির্মলা বলেন, 'আমাদের সরকার মধ্যবিত্তদের সাহায্যের জন্য একটি গৃহায়ণ প্রকল্প চালু করব। যে সকল মধ্যবিত্তরা ভাড়া বাড়ি, বস্তি বা বেআইনি কলোনিতে থাকেন, তাঁরা যাতে নিজেদের বাড়ি কিনতে বা বানাতে পারে, তার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।' (আরও পড়ুন: কাঠামো বদল হল না, তবে আয়কর রিটার্ন নিয়ে বাজেটে বড় কথা বললেন নির্মলা)
এদিকে বাজেট নথি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ এবং শহর) জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগের বছরে যেখানে এই প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ ছিল ৭৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। এবছর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। এদিকে বাজেট প্রস্তাবের ভাষণে নির্মলা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় আরও অতিরিক্ত ২ কোটি বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে গত ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসের সময়ও প্রধানমন্ত্রী মধ্যবিত্তদের জন্য গৃহায়ণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন লালকেল্লা থেকে। উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালেই শহরের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করেছিল কেন্দ্র। (আরও পড়ুন: ২০২৩-এর বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কী কী ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা, একনজরে ফিরে দেখুন)
এদিকে আজ বিদ্যুৎ নিয়ে বড় ঘোষণা করেন নির্মলা। বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এক কোটি বাড়ির মাথায় সৌর প্যানেল বসানো হবে। মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ মিলবে। বছরে বিদ্যুতের বিলে ১৫,০০০-১৮,০০০ টাকা বাঁচবে।' এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নের জোয়ার আসবে। যা ২০৪৭ সালের লক্ষ্যে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটা স্বর্ণযুগ হবে। আর ভারতের অর্থনীতির অবস্থা ভালো আছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী বলেন, 'গরিব, মহিলা, যুব সম্প্রদায়, অন্নদাতা - এই চার শ্রেণির উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে এসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গরিব কল্যাণের উপর জোর দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। আগে সামাজিক ন্যায় স্রেফ রাজনৈতিক স্লোগান ছিল।' এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারতের আনা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের আশাকর্মী এবং এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও সেই সুবিধা পাবেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্পদ যোজনার ফলে প্রচুর কৃষক লাভবান হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।