আগামী মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই আগে শেষ ইজরায়েল-মার্কিন পণবন্দি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় জীবিত পণবন্দিদের মধ্যে ইদানই শেষ মার্কিন নাগরিক। যদিও তাঁকে কবে মুক্তি দেবে হামাস তা এখনও কিছু জানায়নি।তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন-২২০০ পয়েন্টের লম্বা লাফ! ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পর লক্ষীলাভ শেয়ার বাজারে
২১ বছর বয়সি ইদান আলেকজান্ডার ইজরায়েল সেনাবাহিনীর এক সদস্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে জন্ম তাঁর। সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছিলেন।গাজা সীমান্তে একটি বিশেষ ইউনিটে ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলার সময় তাঁকে আটক করা হয়। হিসাব অনুযায়ী, সে সময় হামাস যে ২৫১ জনকে পণবন্দি করে, তাদের মধ্যে ৫৯ জন এখনও গাজায় রয়েছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এরমধ্যে কমপক্ষে ২৪ জন জীবিত আছেন।এদানকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে হামাস জানিয়েছে, ৭০ দিন ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইজরায়েল। কোন ধরনের ত্রাণ বা মানবিক সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না তারা। মানবিক সহায়তা প্রবেশের চুক্তি সহজ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-২২০০ পয়েন্টের লম্বা লাফ! ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পর লক্ষীলাভ শেয়ার বাজারে
নির্বাসিত গাজা হামাস প্রধান খলিল আল-হায়া জানিয়েছেন , এডানের মুক্তির জন্য কাতার, মিশর এবং তুরস্ক যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই আন্দোলন অবিলম্বে নিবিড় আলোচনা শুরু করার এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং সম্মত পদ্ধতিতে বন্দী বিনিময়ের জন্য একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য প্রস্তুতিকে নিশ্চিত করে। এদিকে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে আলেকজান্ডারের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এটিকে ‘অসাধারণ খবর’ এবং ‘সদিচ্ছার প্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদের অবহিত করেছে। হামাসের এই পদক্ষেপকে তারা ‘মার্কিনিদের প্রতি আন্তরিকতা সদিচ্ছার প্রকাশ’ হিসেবে বিবেচনা করছে। এটির মাধ্যমে আরও পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার পথ খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ইজরায়েল আবার গাজায় বিমান হামলা ও সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৭২০ জন নিহত হয়েছেন।এছাড়াও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে পণবন্দি করা হয়। এর জবাবে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫২ হাজার ৮২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।