বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এল গুজরাট হাইকোর্ট থেকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, স্বামী যদি তাঁর স্ত্রী'কে ধর্ষণ করেন, তাহলে সেটা ধর্ষণ বলেই বিবেচিত হবে। গুজরাট হাইকোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে বৈবাহিক ধর্ষণের ব্যতিক্রমের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি। উল্লেখ্য, ৩৭৫ (ব্যতিক্রম ২) ধারা অনুযায়ী, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: ২৬ বছরের পুরনো ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্তকে মুক্তি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
শুনানিতে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি দিব্যেশ এ জোশী বৈবাহিক ধর্ষণের যুক্তি দিতে গিয়ে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, আমেরিকার ৫০টি রাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার ৩টি রাজ্য এবং অন্যান্য অনেক দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ বেআইনি। অর্থাৎ এটি হল অপরাধ।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, একজন মহিলা তাঁর স্বামী শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, তাঁদের শোয়ার ঘরে গোপনে সিসিটিভি লাগিয়ে দিয়েছিলেন তার শ্বশুর। তারপর তাঁর শশুর তাঁদের গোপন মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখতেন। শুধু তাই নয়, তাঁর স্বামীও তাঁদের গোপন মুহূর্তের ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপে পাঠানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি সাইটেও আপলোড করতেন। তাতে বাধা দিতে গিয়ে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর তাঁকে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। মহিলার দাবি, হোটেল বিক্রি বাঁচানোর জন্য টাকা উপার্জনেই তাঁরা এই কাণ্ড করতেন। সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মহিলার শাশুড়ি। তবে হাইকোর্ট তার জামিন নাকচ করে দিয়েছে।