এবারের লোকসভা নির্বাচনে চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছেন বহু প্রার্থী। কিন্তু, বিহারের রাজনীতিতে গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া নেতাদের পত্নীরা সেই চমক দেখাতে পারলেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোটাররা। ফল প্রকাশ হতেই বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়েছে যে বিহারের মানুষ গ্যাংস্টারদের মেনে নিতে চায় না। বিহারে এবার নির্বাচনে যে সমস্ত কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের পত্নীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তার মধ্যে ৩ জন বিপুল ভোটে হেরেছেন। জয়ের হাসি হেসেছেন শুধুমাত্র একজন। উল্লেখযোগ্যভাবে এর মধ্যে বেশিরভাগই লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির টিকিটে লড়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু নীতীশের…চার মন্ত্রক,বিহারে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জেডিইউর
কুখ্যাত গ্যাংস্টার অশোক মাহাতোর স্ত্রী কুমারী অনিতা মুঙ্গের থেকে আরজেডির টিকিটে লড়েছিলেন। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অশোক মাহাতো একসময় বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের তালিকায় ছিলেন ।তিনি এক সময় জেল ভেঙে পালিয়েও ছিলেন। ১৭ বছর জেল খাটার পর তিনি মুক্তি পান। তবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ভোটে দাঁড়াতে পারেননি। তাই ভোট আসতেই তাঁকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন লালু প্রসাদ। সেই মতোই তিনি বিয়ে করার পর তাঁর স্ত্রী অনিতা কুমারীকে প্রার্থী করে দল। মুঙ্গের থেকে অনিতা ভোটে লড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে জেডিইউ প্রার্থী রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিংয়ের কাছে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন গ্যাংস্টার পত্নী।
অন্যদিকে, বাহুবলী অবধেশ মণ্ডলের স্ত্রী বীমা ভারতী এ ভাবেই প্রার্থী হয়েছিলেন পূর্ণিয়া থেকে। কংগ্রেসে যোগ দিলেও বাহুবলী পাপ্পু যাদব ওই আসনে বিরোধীদের মহাজোটের প্রার্থী হতে পারেননি। কংগ্রেসের থেকে আসনটি নিয়ে পূর্ণিয়ায় আরজেডি বীমা ভারতীকে প্রার্থী করে। অবধেশ খুন, অপহরণ এবং তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত। তবে তাঁর স্ত্রী সেখানে জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। ভারতী মাত্র ২৭ হাজার ভোট পেয়েছেন, যেখানে নোটা ভোট ছিল ২৩ হাজারের কিছু বেশি।