৫০০ টাকা কোনওভাবেই খুঁজে পাওয়া পাচ্ছিলেন না। তাতে সন্দেহ হয়েছিল ছেলের উপর। আর সেই সন্দেহের বশেই ১০ বছরের ছেলেকে পিটিয়ে খুন করল বাবা। এমনই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ছেলেটির নাম আদের। এই ঘটনায় তার বাবা নওশাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশঙ্কারজনক অবস্থায় ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। জানা গিয়েছে, ব্লোপাইপ ব্যবহার করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ছেলেটিকে। বাবার এমন কাণ্ডে হতবাক প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: সল্টলেকে সেচ দফতরের আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ, মৃত্যু কলেজ পড়ুয়ার, তদন্তে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে। আদের বাবা নওশাদ এবং সৎ মা রাজিয়া বাড়িতে ৫০০ টাকা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন তাদের সন্দেহ হয় ছেলেই টাকা চুরি করেছে। এরপরেই ছেলেকে অমানবিকভাবে মারধর করতে শুরু করেন নওশাদ।
প্রতিবেশীরা জানান, নওশাদ প্রায়ই তার ছেলেকে অমানবিকভাবে মারধর করতেন। বিশেষ করে তিনি দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে ছেলের উপর অত্যাচারের মাত্রা কয় গুন হারে বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ছেলেটির সৎ মায়ের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশীরা। নওশাদ প্রায়ই ভুলের জন্য ছেলেকে মারধর করতেন। এর জন্য ব্লোপাইপ ব্যবহার করতেন তিনি। শনিবারও ছেলেকে ব্লোপাইপ দিয়ে মারধর করতে শুরু করে নওশাদ। তার শরীরে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হলেও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, পরিবারটি, গাজিয়াবাদের তিওদি গ্রামের বাসিন্দা।
রাহাত আলি নামে একজন প্রতিবেশীর কথায় ছেলেকে মারধর করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন নওশাদ। তিনি তার ছেলেকে নিয়মিত মারধর করতেন। এদিন ৫০০ টাকা না পাওয়ায় খুন করে ফেলেন।
এই ঘটনা ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আদের দাদু ও ঠাকুমা। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ছেলেটির সৎ মাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাজিয়াবাদের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্ঞান প্রকাশ রাই জানিয়েছেন, এই হত্যার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা জানতে তদন্ত আরও চলছে। শিশুটিকে ব্লোপাইপের সাহায্যে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। সেই ব্লোপাইপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমন ঘটনায় অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রতিবেশীরা।