আবারও ড্রাগনের রক্তচক্ষু দেখল সাবেক ফরমোজা দ্বীপ।একগুচ্ছ বিমান এবং রণতরীতে গোটা এলাকা ঘিরে চিনের হুমকিতে তাইওয়ানের রক্তচাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসারি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বেজিং। মঙ্গলবার নতুন করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের জলসীমার আশেপাশে ১২টি চিনা বিমান এবং ৭টি নৌবাহিনীর জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে।
এক্স পোস্টে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, 'আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত তাইওয়ানের চারপাশে পিএলএ বিমানবাহিনীর ১২টি বিমান এবং ৭টি রণতরীকে দেখা গিয়েছে। ১২টি বিমানের মধ্যে ১০টি মধ্যরেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন প্রবেশ করেছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।' সোমবারও তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৫টি পিএলএ বিমান, ৯টি চিনা জাহাজ তাদের চারপাশে চলাচল করতে দেখেছে। এক পোস্টে সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, 'আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত তাইওয়ানের চারপাশে পিএলএ বিমানবাহিনীর ৫টি বিমান এবং ৯টি রণতরীকে দেখা গিয়েছে। ৫টি বিমানের মধ্যে ৩টি মধ্যরেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন প্রবেশ করেছে।'
আরও পড়ুন-'বিবিকে এনে দাও….!' ‘শান্তির দূত’ হলেন ট্রাম্প? যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ইজরায়েলের
গত কয়েক বছরে চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের মে মাসে লাই চিং-টে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর। স্বাধীন ও সার্বভৌম তাইওয়ানের পক্ষে তিনি। এই লাই চিং-তেকে 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' নেতা বলে মনে করে বেজিং হুমকি দিয়ে আসছে, তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি প্রয়োগ করতে পিছপা হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাবে। কারণ যুদ্ধের প্রস্তুতিই যুদ্ধ এড়ানোর শ্রেষ্ঠ উপায়।’দ্য ইউরেশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ১ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত হলুদ সাগর থেকে দক্ষিণ চিন সাগর পর্যন্ত প্রায় ৭০টি চিনা জাহাজ, যার মধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজও রয়েছে, তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।এই তথ্য দিয়েছেন একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চিন তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের মোতায়েন বাড়িয়েছে, তাইপেকে তাদের সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন-'বিবিকে এনে দাও….!' ‘শান্তির দূত’ হলেন ট্রাম্প? যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ইজরায়েলের
নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, 'তাদের সামরিক কার্যক্রম এবং ধূসর অঞ্চলের কার্যকলাপে পুরো দ্বীপ শৃঙ্খল জুড়ে উল্লেখযোগ্য মোতায়েন জড়িত, যা একটি ব্যাপক সর্বোচ্চ চাপের কৌশলের প্রতিনিধিত্ব করে।' তিনি আরও জানান, 'গড়ে ৫০ থেকে ৭০টি নৌ ও সরকারি জাহাজ কার্যক্রম চালাচ্ছে, সঙ্গে বিভিন্ন সামরিক বিমানের শতাধিক উড্ডয়ন হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টির মিশনে নিয়োজিত।'