পুলিশ ওই ব্যক্তির লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, যাতে দেখা গিয়েছে যে তিনি আর্থিক সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।
Ad
ট্যাংরা-হালতুর পুনরাবৃত্তি, আত্মঘাতী লেকচারার ও তাঁর স্ত্রী, মিলল ২ সন্তানের দেহ
সাম্প্রতিক সময়ে ট্যাংরা, হালতুর মতো ঘটনা গোটা বাংলা তথা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এবার সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদে। জানা গেল, গত ১০ মার্চ রাতে হায়দরাবাদের হাবসিগুড়ায় ৪৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ও তাঁর ৩৫ বছর বয়সী স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ পৃথক ঘরে পাওয়া যায় এবং তাঁদের নাবালক সন্তানদেরও বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প আসার পর বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের সম্পদ কমেছে কত? শুনলে ঘুরবে মাথা)
এই নিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে হাবসিগুড়া এলাকার রবীন্দ্রনগর কলোনিতে তাঁদের বাড়িতে। প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং তদন্ত শুরু করে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর এন রাজেন্দর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি প্রথমে তাঁদের সন্তানদের শ্বাসরোধ করে খুন করার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, যাতে দেখা গেছে যে সে আর্থিক সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিল। পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'আমরা মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছি এবং মামলার তদন্ত করছি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।' (আরও পড়ুন: দিলীপের ঢাল হয়ে তথাগতকে জবাব তরুণজ্যোতির, প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরের বিরোধ)
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আদতে মেহবুবনগর জেলার কালওয়াকুর্তি ব্লকের মুকুরাল্লা গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারটি এক বছর আগে হাবসিগুদায় চলে আসে। ওই ব্যক্তি আগে একটি বেসরকারি কলেজে লেকচারার হিসেবে কাজ করলেও গত ছয় মাস ধরে বেকার ছিলেন। তদন্তকারী অফিসার বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্বের কারণে পরিবারটি মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। সুইসাইড লেটারে ওই ব্যক্তি তাঁর ক্যারিয়ারের অবনতি ও স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।'
আপনার যদি সহায়তার প্রয়োজন হয় বা এমন কাউকে চেনেন তবে দয়া করে আপনার নিকটস্থ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
ওয়ান লাইফ - যোগাযোগ নম্বর: 78930 78930; সেবা: যোগাযোগ নম্বর: 09441778290