ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৪ টি রাজ্যে উপনির্বাচনের আবহে প্রচুর পরিমাণ টাকা, মাদক এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে হাজার কোটি নগদ টাকা, মূল্যবান জিনিস ও মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৫৮ কোটি টাকার নগদ ও বিভিন্ন সামগ্রী। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, এই পরিমাণটি হল ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে প্রায় সাত গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: ‘টাইপো হয়েছিল’, ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের তথ্য পেশে ভুল স্বীকার কমিশনের
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে যখন বিধানসভা নির্বাচন চলছিল সেই আবহে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড থেকে প্রায় ১২২ কোটি টাকার নগদ, মূল্যবান জিনিসপত্র ও মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০৩.৬১ কোটি ও ঝাড়খণ্ডে এটি ছিল কোটি। ১৮.৭৬ কোটির নগদ ও বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আর এবার সেই সংখ্যাটি হল ৮৫৮ কোটি টাকা, যা প্রায় ৭ গুণ বেশি। ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২০ নভেম্বর। একই দিনে মহারাষ্ট্রে ভোট হবে। ২৩ নভেম্বর উভয় রাজ্যের ভোট গণনা হবে।
মহারাষ্ট্রে সমস্ত জেলায় অভিযান চালিয়ে এই সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে পালঘর জেলার ওয়াদা থানা এলাকায় একটি অভিযান। এখানে একটি সন্দেহজনক জিপ থেকে ৩.৭০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া, বুলধানা জেলার জামোদ এসি-তে ৪.৫১ কোটি টাকার ৪৫০০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়, রায়গড়ে ৫.২০ কোটি মূল্যের রূপো বাজেয়াপ্ত করা হয়। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনে বেআইনি অর্থ লেনদেন নিয়ে আরও বেশি তৎপর হওয়ায় বাজেয়াপ্তের পরিমাণ বেড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ঝাড়খণ্ডে অবৈধ খনির কার্যকলাপ রোধ করার জন্য খনির সামগ্রী এবং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।সাহেবগঞ্জের রাজমহল বিধানসভায় ২.২৬ কোটি টাকার অবৈধ খনির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, এছড়াও ডালটনগঞ্জে ৬৮৭ কেজি পোস্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, হাজারিবাগে ৪৮.১৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে, রাজস্থানে, ৪৪৯ কার্টুন মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সব মদ আলুর বস্তার আড়ালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক পড়শি রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় নাগৌরে ওই মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।