ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। এতে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অনেক বিরোধী সংসদ সদস্যও রয়েছেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এআইএমএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আর সেই বিক্ষোভ অবস্থানের বিরোধিতায় সেখানেই পালটা অবস্থান শুরু করল হিন্দু সংগঠনের লোকজন। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দু বিক্ষোভকারীরা মুসলিম সংগঠনগুলোর সামনে বসে পড়ে হনুমান চালিশা পাঠ করে। রাস্তায় বসেই তারা জয় শ্রীরাম স্লোগানও তোলেন।
এদিকে মুসলিম পার্সোনা ল বোর্ডের বিক্ষোভ নিয়ে বিজেপি নেতা প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড প্রমাণ করেছে যে তারা কংগ্রেসের বি টিম এবং এটিও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এটি ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক। ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনটি কৃষক, দরিদ্র মুসলিম ও দলিতদের অধিকার এবং বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানের বাস্তবায়ন সম্পর্কিত। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে রাস্তায় পিকেটিং অসাংবিধানিক। যে কোনও অসাংবিধানিক কাজকে আইনত মোকাবিলা করব আমরা।'
ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ এবং ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪-এর যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। তিনি দাবি করেন যে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি সমাজে বিভাজন তৈরি করতে পারে এবং সংসদের আইন প্রণয়নের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ইতিমধ্যেই কমিটির কাছে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছে এবং সেই বিষয়গুলি রিপোর্টে বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এই সংশোধনীর পরে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে ডেকেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি এবং ওয়াকফ। কমিটির সামনে এআইএমপিএলবি যে যে উদ্বেগ উত্থাপন করেছে, সেই বিষয়গুলি আমরা নোট করেছি। শুধু তাই নয়, আমরা এটিকে আমাদের প্রতিবেদনের একটি অংশও করেছি ... তাহলে কেন দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছেন তাঁরা? সংশোধনীর পর আরও ভালো আইন হতে যাচ্ছে। দরিদ্র, মহিলা, বিধবা ও শিশুরাও ওয়াকফের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।'