প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে কোভিড প্রতিরোধী ওষুধ মজুতের অভিযোগের জেরে এবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। আপ বিধায়ক প্রীতি তোমার ও প্রবীন কুমারের বিরুদ্ধেও একইভাবে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য়ও ড্রাগ কন্ট্রোলারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুনানি চলাকালীন অ্য়াডভোকেট বিরাগ গুপ্তা জানিয়েছেন, ‘মেডিকেল ক্যাম্প না করেই এই ধরনের ওষুধ বিলির মাধ্যমে একথা মনে হচ্ছে যে কেমিস্ট, চিকিৎসক ও তাঁর মধ্যে একটা যোগাযোগ রয়েছে। এটা আদালতের তদন্ত করে দেখা দরকার।’ জাস্টিস সাংহির দাবি, ‘অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিলি করার জন্য় এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাংসদ এটা আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার। কিন্তু যখন অনেকেই ওষুধ পাচ্ছেন না তখন কি তাঁর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিৎ হয়নি? অনেককেই তো এজন্য ভুগতে হতে পারে? হয়তো তাঁর এই কাজের পেছনে কোনও খারাপ অভিপ্রায় ছিল না, কিন্তু যেভাবে তিনি করেছেন এটা করা উচিৎ হয়নি।’ প্রসঙ্গত এর আগেই কোর্ট জানিয়েছিল রাজনীতিবিদদের ওষুধ মজুতের কারবার নেই। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এগুলি পৌঁছে দেওয়া দরকার। প্রসঙ্গত প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে কোভিড প্রতিরোধী ওষুধ মজুতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মোটিভেশনার স্পিকার লেহর শেঠি। এমপির দফতর থেকে আধার কার্ড ও প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কোভিড প্রতিরোধী Fabiflu দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এইভাবে ওযুধ বিলির প্রক্রিয়া নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল আদালতও।