টানা বৃষ্টি। জলমগ্ন দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। এদিকে দিল্লি ITO'র দিকেও জল চলে এসেছে। তবে শুক্রবার বিকালে এলাকায় সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে মূলত যেটা বোঝা গিয়েছে, ড্রেনের রেগুলেটরে কোনও সমস্য়া হয়েছে। দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা জানিয়েছিলেন, আগামী ৪-৫ ঘণ্টার মধ্য়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।
দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা জানিয়েছেন, আপনারা দেখেছেন যে যমুনা নদী আইটিওর দিকে বইতে শুরু করেছে। আমরা আর্মি, এনডিআরএফ, ডিজেবি, সেচদফতর, ফ্লাড কন্ট্রোল সকলকে মোতায়েন করেছি। তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আমরা নিশ্চিত আগামী ৪-৫ ঘণ্টার মধ্য়ে আমরা কিছু ইতিবাচক ফলাফল দেখতে পাব।
তিনি জানিয়েছেন, বালির বস্তা ফেলে আমরা জল আটকানোর চেষ্টা করছি। বোল্ডার ফেলে সাময়িক বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে যমুনা নদীর স্রোত খুব বেশি। কিন্তু শহরের মধ্যে যাতে গভীর জল না হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রেগুলেটরের একটি প্লেট বেঁকে গিয়েছিল। সেটা মেরামত করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে পরবর্তী তিন-চার ঘণ্টার মধ্য়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দিল্লির ওয়াটার মিনিস্টার সৌরভ ভরদ্বাজ বৃহস্পতিবার থেকে এলাকায় রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এনডিআরএফ রাতে এলে খুব ভালো হত।
তবে দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা জানিয়েছেন, এখন দোষারোপ করার সময় নয়। আমাদের এখন সমস্যা মেটাতে হবে। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। কিন্তু এতে সমস্যা আরও বাড়বে।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, বিকাশ মার্গ হয়ে আইটিওর দিকে না গিয়ে বিকল্প রুট দেখুন। কারণ সেখানে জল জমে রয়েছে। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে এই রাস্তাটায় আসবেন না। আপাতত অক্ষরধাম-নিজামুদ্দিন আইটিও হয়ে এনএইচ ২৪ আসতে পারেন।
এদিকে জল যাতে শহরের মধ্যে আরও বেশি করে আসতে না পারে সেকারণে কাজ চলছে। যমুনা নদীর কাছাকাছি এলাকা মারাত্মকভাবে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। রাজঘাট, আইটিও এলাকায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি। সেকারণে সেই এলাকায় জলমগ্ন এলাকায় এড়িয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার জন্য পরামর্শ দিল্লি পুলিশের।