রাহুল গান্ধীর সমালোচনার জন্য জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ শানালেন জয়রাম রমেশ। কংগ্রেস নেতার দাবি, উপ-রাষ্ট্রপতি তথা সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় আদতে একজন আম্পায়ার। কোনও শাসকপক্ষের ‘চিয়ারলিডার’ হতে পারেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিবৃতিতে কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, এমন কয়েকটি পদ আছে, যে পদে বসে কোনও নির্দিষ্ট মতাদর্শ, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য থাকা উচিত নয়। অতীতে কোনও মতাদর্শ পোষণ করলেও ওরকম সাংবিধাবিক পদে সেইসব বিচারধারা ঝেড়ে ফেলা উচিত। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, 'ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি পদ এরকমই সেই তালিকায় সামনের সারিতে আছে। যে পদে থাকলে সংবিধান রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বাড়তি দায়িত্ব অর্পণ করে।'
ধনখড়কে আক্রমণ শানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'উনি সরকারের হয়ে সাফাই গাইতে তাড়াহুড়ো করে ময়দানে নেমে গিয়েছেন। যে কাজটা থেকে তাঁর একহাত থেকে দূরে থাকা উচিত। সেইসঙ্গে উনি যেভাবে সেই কাজটা করেছেন, সেটা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর এবং হতাশাজনক।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য কয়েকজন ব্যক্তির মতো উনি (ধনখড়) যে পদে বসে আছেন, সেই পদের নিরিখে তাঁর (ধনখড়) অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয় না।’
কী বলেছিলেন ধনখড়?
লন্ডনে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে একাধিক বিজেপি নেতারা আক্রমণ শানান। তারইমধ্যে ধনখড় নাম না করে কংগ্রেস সাংসদকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'দেশের বাইরে একজন সাংসদের এই যে কথা বলেছেন, তাতে আমি যদি নীরবতা বজায় রাখি, তাহলে আমি সংবিধানের বিরোধিতা করতে পারি না। যে মন্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। ভারতীয় সংসদে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার মন্তব্য কীভাবে বরদাস্ত করতে পারি?'
কী বলেছিলেন রাহুল?
হাউস অফ কমন্সের গ্র্যান্ড কমিটি রুমের একটি অনুষ্ঠানে রাহুল বলেছিলেন, 'আমাদের (সংসদে) যে মাইকগুলি আছে, সেগুলি অকেজো নয়। সেগুলি কাজ করে। কিন্তু আপনি সেগুলি চালু করতে পারবেন না। আমি যখন কথা বলি, তখন একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে (অর্থাৎ মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে)।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )