ইতিউতি আকাশে উড়ন্ত চাকতির মতো যান দেখতে পাওয়ার বহু দাবি রয়েছে। ওই উড়ন্ত যানে ভিনগ্রহীরা চেপে পৃথিবীতে উঁকিঝুঁকি দেয় বলেও রয়েছে দাবি। পৃথিবীতে ভিনগ্রহীদের পা পড়েছে বলে এমন একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই নিয়ে এবার বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সি সিআইএ। কানাডিয়ান উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র হলোস উক্রাইনি-তে এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। 'দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স' পডকাস্টেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে খতম ২ ‘দামী’ মাওবাদী, ঝাড়খণ্ডে ধ্বংস ১১ বাঙ্কার, ৭টি IED)
আরও পড়ুন-দিল্লিতে গ্রেফতার বাংলাদেশি-সহ ১৫ বিদেশি, বিতাড়নের নির্দেশ
সিআইএ-এর ডিক্লাসিফায়েড হওয়া নথি থেকে উঠে এসেছে ভিনগ্রহীদের নিয়ে ভয়াবহ তথ্য। ২০০০ সালে ডিক্লাসিফায়েড হওয়া ২৫০ পৃষ্ঠার টপ-সিক্রেট ওই নথি বলছে রাশিয়ার মাটিতে দেখা গিয়েছিল ভিনগ্রহীদের উড়ান ইউএফও। প্রায় ৩৫ বছর আগে, সেই সময়ে সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার একটি ইউনিটের সঙ্গে দেখা হয় ভিনগ্রহীদের।সোভিয়েতের পতনের পরে কেজিবি-র নথি থেকে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানতে পারে সিআইএ। যার জেরে ২৩ জন সেনা পাথরে পরিণত হয়ে যায়। মাত্র কয়েকজনই বেঁচে গিয়েছিলেন। সিআইএ-এর নথিতে দাবি করা হয়েছে, সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার একটি ইউনিট কুচকাওয়াজ করছিল সাইবেরিয়ার একটি অঞ্চলে। সেই সময়ে তাদের মাথার উপর একটি ফ্লাইং সসার দেখা যায়। সেনাদের কেউ কেউ গুলি করে বা মিসাইল ছোড়ে সেটা লক্ষ্য করে। গুলির আঘাতে ভেঙে পড়ে ওই যান। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচ জন হিউম্যানয়েড বা ভিনগ্রহী। তারা একসঙ্গে মিলে একটি বলের আকৃতি নেয়। তারপরেই কোনও একটি এনার্জি প্রবাহ তৈরি হয়, তার ফলে ২৩ জন সেনা পাথরে পরিণত হন। (আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে থাকা বিমানসেবিকার যৌন হেনস্থা, বিতর্কে মুখ খুলল নামকরা হাসপাতাল)
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে 'প্রতিশোধ' নিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারল বাংলাদেশ?
কেবল দু'জন সেনা যারা ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং তারা এনার্জি প্রবাহের সংস্পর্শে কম এসেছিল, তারা বেঁচে যায়। তারা জানান, ওই পাঁচ ভিনগ্রহী ভেঙে পড়া যান থেকে বেরিয়ে একসঙ্গে মিশে বলের আকৃতি নেয়, তার পরে সাদা রঙের ভীষণ উজ্জ্বল কোনও আলোর বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই একাধিক সেনা পাথরে পরিণত হয়ে যান। সিআইএ নথি অনুযায়ী, ওই ঘটনার পরেই ভিনগ্রহীদের যান এবং পাথরে পরিণত হওয়া সেনাদের মস্কোর গোপন ডেরায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।কেজিবি নথিতে লেখা রয়েছে যে সেনারা যে পাথরে পরিণত হয়েছিলেন সেটার মলিকিউলার স্ট্রাকচার অনেকটা চুনাপাথরের মতো। কিন্তু আলোর উৎস এবং প্রকৃতি জানা যায়নি।তবে সিআইএ-র নথিতে নির্দিষ্ট কোন দিনের কথা বলা হয়নি। মনে করা হচ্ছে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে অর্থাৎ সোভিয়েত সরকারের একেবারে শেষ দিকে। ১৯৯৩ সালের ২৭ মার্চ, ইউক্রেনের একটি সংবাদপত্র হলোস উক্রাইনি-তে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।