আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড কাড়ল খবরের শিরোনাম। সদ্য উত্তর প্রদেশের মীরাটে স্বামীকে হত্যা করে তাঁর দেহ খণ্ড ড্রামে সিমেন্ট বন্দি করার ঘটনা সামনে আসে। এরপর একাধিক অপরাধের ঘটনা দেশে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। এবার খবর ওপার বাংলা থেকে। বাংলাদেশের মীরপুরে সদ্য এক হত্যকাণ্ড ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেদেশে এক শিশুকে পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বাংলাদেশের মীরপুরে। সেখানে এক গ্যারেজে দাদার সঙ্গে এসেছিল ছোট্ট শিশুটি। গ্যারেজের মালিক ওই শিশুর দাদাকে খাবার নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন। সেটা শুনে গ্যারেজেই ভাইকে রেখে দৌড়ায় দাদা। এরপর ঘটে বড় কাণ্ড। এরপর দাদা ফিরে আসতেই দেখে ভাইয়ের পেট ফুলে রয়েছে। সারা গায়ে তার বমি। পায়ুপথ দিয়ে গল গল করে বের হচ্ছে রক্ত। অভিযোগ ওঠে ওই শিশুর পায়ুপথে জোর করে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে। বাবা বাসচালক ও মা পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। সেই পরিবারেরই সন্তান আবু বক্কর। আর তার মৃত্যুতেই পরিবারে শোকের ছায়া। পুলিশ বলছে, পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। একজন অজ্ঞাতনামা সহ ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন শিশু হওয়ায় বাংলাদেশের ২০২৩ শিশু আইনে তার নাম উল্লেখিত করা হচ্ছে না। বাকি দুই অভিযুক্ত রাজু ও মো. সুজন খান।
জানা যায়, ঘটনার দিন গ্যারেজে ফিরে এসে ছোট ভাই আবুর ওই অবস্থা দেখে, দাদা মহম্মদ জিহাদ জানতে চেয়েছিল, কী হয়েছে ভাইয়ের? তার দাবি, অভিযুক্ত কিশোর তাকে জানায়, কিশোর তাকে জানায়, মোটরসাইকেল পরিষ্কার করার পাম্প দিয়ে সে আবুর পায়ে বাতাস দিয়েছে। ভাইয়ের রক্ত পড়ছে কেন জানতে চাইলে, ওই অভিযুক্ত কিশোর জানায়, সে মুখের ভেতর পাম্প করে বাতাস দিয়ে পেটের বাতাস বের করার চেষ্টা করেছে। একটা সময় ছোট্ট আবু বমি করতে করতে অচেতন হয়ে পড়ে। আর তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।