বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Chinese spy ship leaves Maldives: ভারতীয় নৌসেনার মহড়া শেষ হতেই মলদ্বীপ ছাড়ল চিনের ‘গুপ্তচর জাহাজ’- রিপোর্ট
পরবর্তী খবর
Chinese spy ship leaves Maldives: ভারতীয় নৌসেনার মহড়া শেষ হতেই মলদ্বীপ ছাড়ল চিনের ‘গুপ্তচর জাহাজ’- রিপোর্ট
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Feb 2024, 11:59 PM ISTAyan Das
চিনের 'গুপ্তচর জাহাজ' শিয়াং ইয়াং হং ৩ মলদ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের 'গুপ্তরচর জাহাজ' এমন একটা সময় মলদ্বীপ বেরিয়ে গিয়েছে, যার দিনতিনেক আগেই মলদ্বীপে মহড়া সেরেছে ভারত।
মলদ্বীপ থেকে চলে গেল চিনের 'গুপ্তচর জাহাজ' শিয়াং ইয়াং হং ৩। মলদ্বীপের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'গত ২২ ফেব্রুয়ারি মালেতে নোঙর করার পরে অবশেষে মলদ্বীপের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের সীমানা ছেড়ে চলে গিয়েছে চিনা জাহাজ। তবে মালে বন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও বিভিন্ন নজরদারি ওয়েবসাইটে চিনা জাহাজের সিগন্যাল ধরা পড়েছিল হুলহুমালের কাছে। দু'দিন আগেই সেই সিগন্যাল ধরা পড়েছে।' উল্লেখ্য, চিনের 'গুপ্তরচর জাহাজ' এমন একটা সময় মলদ্বীপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে, যার দিনতিনেক আগেই মালের কাছে ভারত মহাসাগরে ত্রিদেশীয় 'দোস্তি-১৬' মহড়া চালিয়েছে ভারত। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা সেই মহড়ায় ভারতের সঙ্গে ছিল শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপ। যেখানে ত্রিদেশীয় মহড়া চলছিল, সেই এলাকার কাছেই অবস্থান করছিল চিনের 'গুপ্তচর জাহাজ'।
যদিও সেইসব কোনও বিষয়ের সঙ্গে 'গুপ্তচর জাহাজ' শিয়াং ইয়াং হং ৩-র কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে এসেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, নেহাতই ‘নাবিক পরিবর্তন এবং নিজেদের ভাণ্ডার পুনরায় ভরতি করার’ জন্য মালেতে নোঙর করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ঠিক একইসুরে চিনা জাহাজকে মালেতে নোঙরের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিল মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রক। সেইসঙ্গে চিনের ‘বন্ধু’ মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে তাদের দেশের জলসীমায় কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে না চিনা জাহাজ। ‘বন্ধু’ হওয়ায় চিনা জাহাজকে ‘নাবিক পরিবর্তন এবং নিজেদের ভাণ্ডার পুনরায় ভরতি করার’ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সেই আশ্বাসে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। আশ্বস্ত হয়নি ভারত। বরং ভারতীয় নৌবাহনী সূত্রে খবর মিলেছিল যে চিনের জাহাজকে একেবারে চোখে-চোখে রাখা হচ্ছে, যাতে মলদ্বীপের জলসীমায় কোনও গবেষণামূলক কাজ চালাতে না পারে। যে গবেষণা চিন সামরিক কারণেই চালিয়েই থাকে বলেই বারবার অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্কের অভিযোগ, চিনের এরকম 'গুপ্তচর জাহাজ' আছে। যা সমুদ্রের তলা থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। ভারত মহাসাগর থেকেও সংগ্রহ করে। মূলত সাবমেরিন চালানোর মতো বিভিন্ন সামরিক কারণে বেজিং সেই কাজটা করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বরাবরই সেই অভিযোগ খণ্ডন করে এসেছে বেজিং।