অভিযোগ, চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে বলতে গিয়ে বিজ্ঞান ও পুরাণকে মিশিয়েছে এনসিইআরটি। শুধু তাই নয়, এই অভিযানের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথের উপস্থিতিতেই এই মডিউলটি প্রকাশ করেছিল এনসিইআরটি। সেই লেখায় পুরাণের ভূমিকা নিয়ে লেখা হয়েছে।
চন্দ্রযান ৩ অভিযান নিয়ে মডিউল প্রকাশ এনসিইআরটির
সম্প্রতি চন্দ্রযান ৩ অভিযান নিয়ে একটি মডিউল ছাপিয়েছিল এনসিইআরটি। সেই মডিউল নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই মডিউল নিয়ে অভিযোগ, চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে বলতে গিয়ে বিজ্ঞান ও পুরাণকে মিশিয়েছে এনসিইআরটি। শুধু তাই নয়, এই অভিযানের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথের উপস্থিতিতেই এই মডিউলটি প্রকাশ করেছিল এনসিইআরটি। সেই লেখায় পুরাণের ভূমিকা নিয়ে লেখা হয়েছে। ইংরেজিতে লেখা সেই মডিউলে দেশের নাম 'ভারত' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: আগামী বছর 'চাপ' কমতে পারে জয়েন্ট মেইন পরীক্ষায়, শীঘ্রই প্রকাশ হবে সিলেবাস)
এদিকে এনসিইআরটি-র এই মডিউলকে পক্ষে যুক্তি দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পৌরাণিক কাহিনী থেকেই উদ্ভাবন এবং নতুন জ্ঞানের দিকে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ হই। অসংখ্য গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, পৌরাণিক কাহিনী ভারত সহ যেকোনও দেশের সাংস্কৃতিক কাঠামোতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির একীকরণ জাতির ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি বাড়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এরই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বৃদ্ধি করে।'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, 'ভারতের মহাকাশ গবেষণার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়বদ্ধতার উপর জোর দেওয়া অপরিহার্য। আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অটল সমর্থন ও উৎসাহের স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। এর ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী হতে পারেন তারা। এই কারণেই তাদের উদ্বুদ্ধ করতে এই মডিউল প্রকাশ করা হয়েছে।'