নয়া এই বিল অনুযায়ী, চিঠির খাম এবং পার্সেল থেকে সন্ধ্যা বেলায় ডাক কর্মীরা তা শুল্ক দফতর বা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারে। সাধারণত, চিঠির খামে, পার্সেলে সোনা, মাদক বা টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে অনেকে ক্ষেত্রেই। মূলত সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
ডাকঘর নিয়ে আইন বদল করতে চলেছে কেন্দ্র।
ডাকঘর বা পোস্ট অফিস নিয়ে নতুন আইন নিয়ে আসতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। ভারতে যে ডাকঘর আইন রয়েছে সেটি ব্রিটিশ আমলে ১৮৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল। সেই আইনকে বাতিল করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আইন বদলের প্রয়োজন রয়েছে। এই নয়া আইনে এবার থেকে ডাক কর্মীরাও সন্দেহজনক কোনও চিঠি বা পার্সেল খুলে দেখতে পারবেন। ইতিমধ্যেই সোমবার রাজ্যসভায় এনিয়ে বিল পাস হয়েছে। এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলের সাংসদরা। তাদের বক্তব্য, দেশের সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সবকিছুতেই নজরদারি চালাতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
নয়া এই বিল অনুযায়ী, চিঠির খাম এবং পার্সেল থেকে সন্ধ্যাবেলায় ডাক কর্মীরা তা শুল্ক দফতর বা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারে। সাধারণত, চিঠির খামে, পার্সেলে সোনা, মাদক বা টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে অনেকে ক্ষেত্রেই। মূলত সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সূত্রের খবর, চলতি অধিবেশনে লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে পারে কেন্দ্র। এ নিয়ে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি একযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নতুন পোস্ট অফিস বিল অনুযায়ী, ডাকঘর অফিসাররা কোনও চিঠি বা পার্সেল খুলে দেখতে পারবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধে। দেশের নিরাপত্তার কথা বলে এইভাবে কেন্দ্র সবকিছুতে নজরদারি চালাতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।