
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। ২০১১ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে রুজু হওয়ার মামলার তদন্তের সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার এই চার্জশিট পেশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কার্তির বাবা পি চিদম্বরম যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় চিনের কয়েকজন নাগরিককে ভারতের ভিসা পেতে বেআইনিভাবে সাহায্য করেছিলেন কার্তি। বদলে নিয়েছিলেন মোটা টাকা ঘুষ!
বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি বিশেষ আদালতে সিবিআই সেই মামলার চার্জশিট পেশ করে। তাতে কার্তি চিদম্বরম ছাড়াও তাঁর এক 'ঘনিষ্ঠ সহযোগী'র নাম রয়েছে। সেই ব্যক্তি হলেন এস ভাস্কররমণ।
এছাড়াও, এই চার্জশিটে তালাওয়ান্দি সাবো পাওয়ার লিমিটেড (টিএসপিএল) নামে একটি সংস্থারও নাম রয়েছে। যা বেদান্তের সহায়ক সংস্থা বলে দাবি করা হচ্ছে। এবং সেইসঙ্গে মুম্বইয়ের বেল টুলস নামে একটি সংস্থার নাম এই চার্জশিটে রয়েছে।
সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই ঘুষের টাকা এক জায়গা থেকে অন্যত্র পাচার করা হয়েছিল।
এই চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতি সংক্রান্ত ধারা। সেইসঙ্গে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে।
চার্জশিটে অভিযুক্তদের তালিকায় আরও রয়েছেন, ভিরাল মেহতা, অনুপ আগরওয়াল, মনসুর সিদ্দিকি এবং চেতন শ্রীবাস্তব।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছিল ২০২২ সালে। অভিযোগ ছিল, পঞ্জাবের সংস্থা টিএসপিএল একটি ১৯৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলে। সেই কাজ করতে 'শ্যানডং ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন' (এসইপিসিও) নামে চিনের একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়।
কিন্তু, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলত, সংস্থার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
২০২২ সালে সিবিআই এই মামলায় একটি বিবৃতি জারি করে। তাতে বলা হয়, 'প্রকল্প রূপায়ণে এই দেরির ফলে যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানার মুখে না পড়তে হয়, তার জন্য পঞ্জাবের মানসায় অবস্থিত টিএসপিএল কর্তৃপক্ষ আরও বেশি সংখ্যায় চিনা নাগরিকদের প্রকল্প এলাকায় কাজ করানোর জন্য নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিকদের প্রজেক্ট ভিসা দেওয়ার যে ঊর্ধ্বসীমা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল, সেই নিয়ম মানা হয়নি।'
সিবিআইয়ের দাবি, সমস্যা মোকাবিলায় কার্তি চিদম্বরমের শরণাপন্ন হয়েছিল টিএসপিএল কর্তৃপক্ষ। এবং এই কাজে দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন কার্তির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভাস্কররমণ।
অভিযোগ, এরপর ওই প্রকল্পের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করাতে, সংশ্লিষ্ট চিনা কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ২৬৩টি ভিসা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পুনরায় ব্যবহারের অনুমোদন আদায় করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, এর জন্য ঘুর পথে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কার্তি চিদম্বরম। এই গোটা ঘটনায় কার্তির বাবা পি চিদম্বরমের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports