ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, বেঙ্গালুরুর( আইআইএম) ডিরেক্টর ও সাতজন প্রফেসরের বিরুদ্ধে এবার মামলা রুজু করা হল। এক দলিত অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগের ভিত্তিতে এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কেস রুজু করা হল। তাঁকে জাতপাতের ভিত্তিতে এই বৈষম্যভিত্তিক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার একথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
ওই অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার একটা কেস করা হয়। আইআইএমের ডিরেক্টর ও অন্যান্য প্রফেসরদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। এসসি, এসটি, ( প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস)অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। একটা কেস রুজু করা হয়েছে। তবে যাদের নাম এফআইআরে রয়েছে তাঁরা দাবি করেছেন যে কোর্ট থেকে ওই সন্ধ্যাবেলাতেই তাঁরা স্থগিতাদেশ পেয়েছেন।
এদিকে ডাইরেক্টরেট অফ সিভিল রাইটস এনফোর্সমেন্ট, দ্য সোশাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট রাজ্য পুলিশের প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ওই অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের অভিযোগ আটজন তাঁর কর্মক্ষেত্রে তাঁর কাস্টের ব্যাপারটা বার বার তুলে ধরছেন আর তাঁকে নানা সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছেন।
সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ তুলেছেন যে তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তবে এর আগে আইআইএমবির তরফ থেকে বলা হয়েছিল গোপাল দাস নামে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে বৈষম্য তো দূরের কথা তাঁকে সবরকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি ২০১৮ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন।তারপর থেকেই তাঁকে সবরকম সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তাঁকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদ দেওয়া হয়েছিল।