বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Budget 2023 Expectations: ভোট সত্ত্বেও খয়রাতির বাজেট এড়াতে পারেন নির্মলা, তবে ছাড়ের আশায় প্রচুর মানুষ
পরবর্তী খবর
Budget 2023 Expectations: ভোট সত্ত্বেও খয়রাতির বাজেট এড়াতে পারেন নির্মলা, তবে ছাড়ের আশায় প্রচুর মানুষ
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 01 Feb 2023, 12:01 AM ISTAyan Das
Budget 2023 Expectations: ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট হতে চলেছে। সেই নির্বাচনের আগে এটাই দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হতে চলেছে। ২০২৪ সালের বাজেট হবে ভোট-অন অ্যাকাউন্ট হবে। তবে এবারের সাধারণ বাজেটে অত্যধিক জনকল্যাণমূলক ঘোষণা এড়াতে পারেন নির্মলা সীতারামন।
আগামী বছরেই লোকসভা ভোট। তা সত্ত্বেও এবার স্রেফ দান-খয়রাতির বাজেটের দিকে নাও ঝুঁকতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ মিন্ট’-র বিশ্লেষণ থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তারইমধ্যে একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এবারের বাজেটে বড় ছাড়ের আশায় আছে দেশের ৬০ শতাংশ পরিবার।
দান-খয়রাতির বাজেট নয় কেন?
'লাইভ মিন্ট'-র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত চারটি লোকসভা নির্বাচনের আগে যে চারটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে মাত্র দুটি ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা এবং পরিকাঠামোর খাতের থেকে গ্রামীণ খাতে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। মাত্র একটি ভোট-পূর্ববর্তী শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সামাজিক খাতে অধিক অর্থ বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ওই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রথম এনডিএ সরকারের আমলে ২০০৩-০৪ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ একধাক্কায় কমে গিয়েছিল। ২০০০-০১ অর্থবর্ষ থেকে ২০০২-০৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে গড়ে (১৮ শতাংশ) যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কমে দাঁড়িয়েছিল ১৫.২ শতাংশ। গ্রামীণ ও জনকল্যাণমূলক খাতেও একই ধারা বজায় ছিল। তবে পরিকাঠামো খাতে সামান্য বেড়েছিল বরাদ্দ।
২০০৮ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে জনকল্যাণমূলক বাজেট পেশ করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরীক্ষায় বসার আগে প্রতিরক্ষা এবং পরিকাঠামো খাতে অর্থ বরাদ্দ কমেছিল। সেখানে জনকল্যাণমূলক খাতে বরাদ্দ সামান্য বেড়েছিল। ২০০৫-০৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবর্ষে গড়ে যেখানে গ্রামীণ খাতে ৯.২ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষের বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৬.২ শতাংশ।
যদিও পরেরবার যখন ইউপিএ সরকার লোকসভা নির্বাচনের মুখে পড়েছিল, তখন বাজেটে অত্যধিক জনকল্যাণমূলক ঘোষণার ছড়াছড়ি ছিল না। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের বাজেটে গ্রামীণ ক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা ২০১০-১১ অর্থবর্ষ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের গড় ১২.৪ শতাংশ থেকে কমে গিয়েছিল। সামাজিক খাতে অর্থ বরাদ্দ মোটামুটি একইরকম ছিল।
'লাইভ মিন্ট'-র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছিল। শেষ চারটি লোকসভা নির্বাচনের আগে যে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৮ সালের বাজেটেই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে গড়ে ছয় শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা ২০১৮ সালের বাজেটে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭.৫ শতাংশ। গ্রামীণ ক্ষেত্রেও বরাদ্দ সামান্য বেড়েছিল।