এক সাংবাদিককে আটক করায় কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনা সরকারের তুলোধনা করলেন 'ভারত রাষ্ট্র সমিতি' (বিআরএস)-এর সভাপতি কে টি রামা রাও (কেটিআর)।অভিযোগ হল, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অধীনে থাকা বনভূমি কেটে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবং প্রায় ৪০০ একর জমি নিলাম করে দেওয়া হচ্ছে। যার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। যদিও যে জমি নিয়ে এত কাণ্ডে, তা ঘিরে কিছু বিতর্কও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে খবর করার 'অপরাধে'ই পুলিশ এক সাংবাদিককে আটক করে বলে অভিযোগ। আর, সেই কারণেই সরকারের সমালোচনায় সরব হন কেটিআর।কেটিআর তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘তেলঙ্গনায় যেভাবে পুলিশের খবরদারি বাড়ছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সাংবাদিকদের আটক করা হচ্ছে এবং প্রতিবাদী কণ্ঠকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাকস্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার প্রতি এই দমন-পীড়ন কিছুতেই বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরাসরি কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন কেটিআর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাহুল গান্ধী যেখানে শহরে ঘুরে ঘুরে গণতন্ত্র আর বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন, সেখানে একজন সাংবাদিককে কীভাবে আটক করা হল?সূত্রের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় একাধিক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই খবর করতে গিয়েই আটক হতে হয় সুমিত নামে ওই সাংবাদিককে। এরপর সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সুমিত।এই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিআরএস-এর একের পর এক নেতা কংগ্রেসকে এবং রাজ্যের সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেন।ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশের জমি ফাঁকা করার জন্য ক্য়াম্পাসের ভিতর আর্থ মুভার ঢোকানো হয়। তারপরই বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবেই ক্রমে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জমি দখল করে নেওয়া হবে। এটা হল সেই সম্ভাব্য প্রক্রিয়ারই প্রথম ধাপ।এই আশঙ্কায় ওই পড়ুয়ারা আর্থ মুভারের উপর উঠে পড়েন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের ওই জমি ফাঁকা করতে দেবেন না। সেই সময়ে ৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে আটক করে পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা হল, ক্যাম্পাস লাগোয়া ওই ৪০০ একর জমিতে নয়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। সরকার সেখানে আইটি পার্ক গড়ে তুলতে চাইলেও বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের আশঙ্কা, এর ফলে ওই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।