অযোধ্যায় ধন্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারের তরফে দেওয়া জমি ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখলেন এক বিজেপি নেতা। বিজেপির মুখপাত্র রজনীশ সিংয়ের লেখা সেই চিঠিতে দাবি করা হচ্ছে, ‘ মসজিদ তৈরির ইচ্ছা কখনও ছিল না’ সেখানে।
বিজেপির রজনীশ সিং, তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে সেখানে মন্দির নির্মাণের যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির এই মুখপাত্র রজনীশ সিংয়ের দাবি,' উদ্দেশ্য কখনোই মসজিদ নির্মাণ করা ছিল না, বরং এর অজুহাতে বিরোধ বজায় রাখা ছিল।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় আসে। রয়ের এক অংশে কোর্ট, রাজ্যসরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল অযোধ্যায় ৫ একর জমি মসজিদ নির্মাণের হেতু দেওয়ার জন্য। এদিকে, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড পরে ‘ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন’ (IICF) প্রতিষ্ঠা করে অযোধ্যার ধন্নিপুরে নির্ধারিত জমিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য। অন্যদিকে, বিজেপির রজনীশ সিংয়ের অভিযোগ, মসজিদ তৈরির জন্য ওই জমি ব্যবহার না হয়ে ,তার অপব্যবহার হচ্ছে। সেই অভিযোগ নিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে তিনি রজনীশের দাবি,' জায়গাটি মসজিদ নির্মাণ ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে অশান্তি স্থায়ী করার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।' যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিজেপি নেতা রজনীশ সিংয়ের আর্জি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মসজিদের ট্রাস্ট যাতে কাজ করে, তার নির্দেশ দিতে, তা না হলে জমি রাজ্য় সরকারকে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান রজনীশ।
( Shukra Guru Navapancham Rajyog: রাত পোহালেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে পারে বৃষ সহ ৩ রাশির! শুক্র, গুরু তৈরি করবেন নবপঞ্চম যোগ)
রজনীশ সিং তাঁর চিঠিতে দাবি করছেন,'মসজিদটি নির্মাণের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বারা কোন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি।' যোগী সরকারের প্রতি তাঁর দাবি,' সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জমি ব্যবহার করতে অযোধ্যা মসজিদ ট্রাস্টের আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ জারি' করা হোক। সেটি করতে ব্যর্থ হলে, সরকারকে জমি ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান রজনীশ সিং। উল্লেখ্য, আরও এক মামলায় বিজেপি নেতা রজনীশ সিংয়ের নাম খবরের শিরোনাম কেড়েছিল এককালে। সেবার ২০২২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে তিনি একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাজ মহল মূলত একটি শিবমন্দির ছিল, নাম ‘তেজো মহালয়া’। এই ঘটনা ঘিরেও হয়েছে শোরগোল।