বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। আর আজ জম্মু ও কাশ্মীরের ফল প্রকাশ হতেই সেই পূর্বাভাস সত্যি বলে প্রমাণিত হল। জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি সরকার গঠনের ধারের কাছে যেতে পারেনি। জম্মু অঞ্চলে বিজেপি একচ্ছত্র ভাবে আধিপত্য দেখিয়েছে বটে। তবে সেই এলাকাতেও থাবা বসেছে অন্যান্য দলের। এমনকী জম্মুর দক্ষিণে অবস্থিত ডোড্ডা আসনে বিজেপি হেরে যায় আম আদমি পার্টির কাছে। আর কাশ্মীরে একচেটিয়া ভাবে জয়ী ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট। তবে লাগাতার ১০ বছর নিজেদের কাছে কাশ্মীরের ক্ষমতা রেখেও কেন ভোটবাক্সে ভালো ফল হল না বিজেপির? (আরও পড়ুন: NC-কংগ্রেস ঝড়ে বিজেপি সভাপতিরও হার জম্মু-কশ্মীরে, কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী?)
আরও পড়ুন: মলদ্বীপকে ৬৩০০ কোটির সাহায্য ভারতের, মোদী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতায় গদগদ মুইজ্জু
আরও পড়ুন: হরিয়ানার ভোটে 'বাজিগর' বিজেপি, নেপথ্যে ধর্মেন্দ্র এবং এক বাঙালি
শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবারে কাশ্মীর উপত্যকায় একটিও আসন পায়নি বিজেপি। এবার প্রাথমিক ভাবে শোপিয়ান আসনে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই আসনে চুতুর্থ স্থানে শেষ করেন বিজেপি প্রার্থী। তবে জম্মুর সব আসনে জয়ের যে স্বপ্ন বিজেপি দেখেছিল, তা পূরণ হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবিন্দর রায়না এগিয়ে থেকেও হেরে যান নৌশেরা আসন থেকে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সুরিন্দর কুমার চৌধুরীর কাছে নি ৭৮১৯ ভোটে হারেন। কিন্তু ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে বিজেপি দাবি করেছিল, উন্নয়নের জোয়ার এসেছে উপত্যকায়। পাশাপাশি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে একটি মেরুকরণের সমীকরণও রয়েছে সেখানে। তাহলে কেন জম্মু ও কাশ্মীরে মুখ থুবড়ে পড়তে হল পদ্ম শিবিরকে?