সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের খুন কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ওই সাংবাদিককে। গত সপ্তাহে তাঁর মৃতদেহ মেলে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে। এবার বিশেষ তদন্তকারী টিম জানিয়েছে, তার সম্পর্কিত ভাইরাই খুন করেছে মুকেশকে। তারা রাস্তা তৈরি নিয়ে দুর্নীতির খবর মুকেশ করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারণ সেই ভাইদের মধ্য়ে কয়েকজন এই দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
মুকেশ ছত্তিশগড়ে বস্তার এলাকায় কাজ করতেন। সেখানে সাংবাদিকদের পক্ষে কাজ করা যথেষ্ঠ কঠিন। বয়স ৩২ বছর। নতুন বছরের প্রথম দিনে তাঁকে প্রথম দেখা গিয়েছিল বিজাপুরের পূজারি পাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি ছেড়ে তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ভাই যুকেশ পরের দিন একটি মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। সাংবাদিকের ফোন শেষে কোথায় ছিল তার একটি লোকেশনও তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। দেখা যায় বাড়ির কাছেই তার খুড়তুতো ভাই সুরেশ চন্দ্রকরের একটি ছাউনির কাছে তাঁর ফোনের লোকেশন মিলেছিল।
এদিকে সিআইটি জানতে পারে সেখানে ১৭টি ঘর ছিল কর্মীদের জন্য। একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক ছিল। সেটা সদ্য সিমেন্ট দেওয়া ছিল। সুরেশ জানিয়েছিলেন সংস্কারের জন্য় এই সেপটিক ট্যাঙ্কটিতে সিমেন্ট রয়েছে।
এদিকে কল ডিটেলসে দেখা যায় মুকেশের শেষ ফোনটি ছিল তারই অপর খুড়তুতো ভাই ঋতেশের কাছ থেকে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় ঋতেশ ২রা জানুয়ারি একটি টোল প্লাজাতে রয়েছে। আবার তারপরই রায়পুর বিমানবন্দরে। দিল্লি যাওয়ার বিমান ধরেন।