প্রায় এক বছর আগের ঘটনা। ২০২৪ সালের মে মাসে কলকাতায় নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয় বাংলাদেশি সাংসদ আনায়োরুল আজিমের দেহাংশ। সেই ঘটনা রাজ্য ছাড়িয়ে বাংলাদেশের বুকেও ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। এরপর বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছে রাজনৈতিক পালা বদল। গঙ্গা, পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জলরাশি। এবার উদ্ধার হল আনারুল আজিমের একটি গাড়ি। সেই গাড়ি ঘিরে পুলিশ কী উদ্ধার করেছে?
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় একটি বহুতল ভবনের পার্কিংয়ে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের বহুতল ভবন সাফিনা টাওয়ারের পার্কিং জোন থেকে গাড়িটি বাজেয়ান্ত করা হয়েছে। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক রশিদ। তাতে গাড়ির নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, চ্যাসিস নম্বরসহ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনারের নাম হাতে লেখা আছে। গাড়িটি ঝিনাইদহের প্রাক্তন সাংসদ আনারেরই কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রথমে ছিল পুলিশের। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ‘কাগজগুলো বিআরটিএ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। তবে অফিস ছুটি থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমনই দাবি করেছে, বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’। সেখানে আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌসের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘গাড়ির নম্বরটি দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন গাড়িটি তাঁর বাবার’। তিনি ওই সংবাদমাধ্যমকে জানান, গাড়িটি উদ্ধারের জন্য তিনি আইনের পথে হাঁটবেন। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে সেই গাড়ির খোঁজ কেন ছিল না আনারের পরিবারের সদস্যদের কাছে? আনারের কন্যা ফিরদৌসি জানিয়েছেন,বাবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এবং গত বছরের ৫ আগস্ট–পরবর্তী ঘটনার পর থেকে গাড়িটি কোথায়, কীভাবে, কার কাছে আছে, তা দেখার বা খোঁজ নেওয়ার সুযোগ হয়নি।জানা যাচ্ছে, সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজের দায়িত্বে থাকা প্রহরী আলমগীর জানান, প্রায় তিন মাস আগে একটি তামাক কোম্পানির দুই কর্মকর্তা গাড়িটি রেখে যান সেখানে। এই গাড়ির সূত্র ধরে আনার হত্যাকাণ্ডে কোনও নয়া তথ্য বেরিয়ে আসে কি না সেদিকে রয়েছে নজর।
( স্বামীর ঘনিষ্ঠতা ভালো লাগছে না! প্রেমিককে জানান সোনম? সন্দেহ এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন পোস্ট?)
( জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা ২০২৫র তিথি পড়ে গিয়েছে আজ মঙ্গলবার! কতক্ষণ থাকবে? বলছে পঞ্জিকা)
প্রসঙ্গত, এর আগে, গত বছর কলকাতায় নিউটাউনে আনারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কলকাতায় এক অভিজাত আবাসন থেকে তাঁর দেহখণ্ড উদ্ধার হয়। দেহের বাকি অংশ উদ্ধারেও চলে ব্যাপক তল্লাশি। জানা যায়, তার মরদেহের চামড়া উঠিয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। আওয়ামী লিগের সাংসদ আনারের কন্যা ফিরদৌসের ডিএনএর সঙ্গে পরে একটি খাল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু দেহাংশের ডিএনএর পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই জানা যায় ওই দেহাংশ আনারের।