বঙ্গোপসাগরে বার্ষিক মহড়া সম্পন্ন করল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এই 'এক্সারসাইজ সেফ গার্ড' সম্পন্ন হয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেণের অনুশীলনের মাধ্যমে। চট্টগ্রামে 'এক্সারসাইজ সেফ গার্ড' নামক মহড়ার শেষ দিনে মিসাইল লঞ্চের অনুশীলন দেখতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর প্রধানরা। জানা গিয়েছে, যে জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, তাতে গিয়ে উঠেছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। তাঁদের সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: '... নিয়ম নয়', আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের এই কাজে 'অসন্তোষ'… রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের
এই মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের জলযান অংশ নিয়েছিল। তাছাড়াও সেনা এবং বিমানবাহিনীও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের কোস্টগার্ডও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। মহড়ার শেষ দিনে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চ করা হয়েছিল। এছাড়া যুদ্ধবিমান প্রতিরোধ করা গোলা বর্ষণ করা হয়েছিল রণতরী থেকে। এর পাশাপাশি সাবমেরিন ধ্বং সকরতে সক্ষম ডেপথ চার্জ নিক্ষেপ করা হয়েছি সমুদ্রে। (আরও পড়ুন: কেন মহাকুম্ভে পদপিষ্ট এত জন? ষড়যন্ত্র কি? বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর)
আরও পড়ুন: 'দেহের অবস্থা ভালো না', মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতার বৃদ্ধারও
এদিকে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক জাহাজ। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের 'বানৌজা সমুদ্র জয়'। ২৬ জানুয়ারি ইতিমধ্যেই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে করাচিতে এই জাহাজ থাকবে। সেই সময় করাচি বন্দরে অনুষ্ঠিত হবে 'এক্সারসাইজ অমন ২০২৫'। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ 'বানৌজা সমুদ্র জয়'-এর ক্যাপ্টেন হলেন মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। তাঁর নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশি জাহাজে আছেন মোট ২৭৪ জন নাবিক। এর মধ্যে ৩৩ জন অফিসার। (আরও পড়ুন: নজর ছিল গোটা বিশ্বের, সুদের হার নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ?)
এর আগে পাকিস্তান থেকে দুই দফায় বাংলাদেশে বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছিল। আর এবার পাকিস্তানে মহড়ায় যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশি নৌবাহিনীর জাহাজ। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছিল ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছিল 'এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং' নামের জাহাজটি। পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজটি পৌঁছায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামক জাহাজটি ডিসেম্বরে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে। এর আগেরবার যখন এই জাহাজটি বাংলাদেশে গিয়েছিল, তখন তাতে ছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার।