সুদের হার নিয়ে বুধবার বড় সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার শাসনকাল শুরুর পর এই প্রথম সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেল রিজার্ভ। এবং জানিয়ে দেওয়া হল, সর্বসম্মতিক্রমে এবারে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, ফেডারেল রিজার্ভের ১২ জন শীর্ষ কর্তাই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। এদিকে সদ্য শপথগ্রহণ করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভের এই নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার পরে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁরও মতামত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত। (আরও পড়ুন: কেন মহাকুম্ভে পদপিষ্ট এত জন? ষড়যন্ত্র কি? বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর)
ফেডারেল রিজার্ভ বলে যে এবারে সুদের হার ৪.২৫-৪.৫% পরিসরে অপরিবর্তিত থাকবে। ফেড রিজার্ভ উল্লেখ করে যে মুদ্রাস্ফীতি 'কিছুটা বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যত খানিকটা অনিশ্চিত'। এদিকে এর আগে চিনের ডিপসিক এআই-এর উত্থানের জেরে মার্কিন শেয়ার বাজারে ভূমিকম্প এসেছে। এনভিডিয়া সহ মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারে বিশাল ধস নামে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আমেরিকার শেয়ার বাজারে বড়সড় পতন দেখা গিয়েছিল। সেই রেশ ধরে নিম্নমুখী হয়েছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারের সূচকও। এদিকে মার্কিন সুদের হার কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এর ফলে ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম কমে গিয়েছিল সেবারে। প্রথম বারের মতো ডলারের দাম পৌঁছেছিল ৮৫ টাকায়। আর এবারে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পরেও নিম্নমুখী ছিল মার্কিন শেয়ার বাজার।
এদিকে সুদের হার সংক্রান্ত ঘোষণা করে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ প্রধান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্য অর্জন 'মোটামুটি ভারসাম্যের মধ্যে' রয়েছে। মার্কিন প্রদেশগুলিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দৃঢ় গতিতে অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্যে ঋণ নেওয়ার খরচ আরও কমাতে সুদের হার কমিয়েছিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। টানা তিনবার ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমিয়েছিল গত ডিসেম্বরে। তবে এবারে আর সুদের হার কমাল না তারা। এদিকে মার্কিন সুদের হার বিশ্ব বাজারে প্রভাব ফেলে থাকে। কারণ এই সুদের হারের ওপরই নির্ভর করে নগদ প্রবাহ এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাব।