বাংলাদেশের কুষ্টিয়া থেকে সদ্য গ্রেফতার হয়েছে অপরাধ জগতের অন্যতম ‘কিংপিন’ সুব্রত বাইন। শুধু বাংলাদেশই নয়, কলকাতা পুলিশের ওয়ান্টেড লিস্টেও ছিল এই কুখ্যাত অপরাধী, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ বলেও দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকালে কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে আটক করে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী।
গ্রেফতারি:-
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী কুষ্টিয়ার এক সন্দিগ্ধ বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়। ‘প্রথম আলো’র খবর বলছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় বাংলাদেশের সেনা বাহিনী। তারপরই সেখান থেকে আটক করা হয় পর পর অপরাধীদের। জানা যাচ্ছে, ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে নামের তালিকা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ঘোষণা করেছিল, তাদের অন্যতম ছিলেন সুব্রত বাইন। তার নামে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি রয়েছে। এদিন সুব্রত বাইন ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে মোল্লা মাসুদ, শরীফ এবং আরাফাত।
( কেতু একা নন, সঙ্গী এবার সূর্য! দুই গ্রহের কৃপায় পকেট ফুলবে অনেকের, লাকি কারা?)
সুব্রত বাইন কেন ছিল কলকাতা পুলিশের নজরে?
নব্বইয়ের দশকের ঢাকার ত্রাস ছিল এই সুব্রত বাইন। শুধু বাংলাদেশই নয়। তার অপরাধের জাল কলকাতা পর্যন্ত ছড়ায়। শোনা যায়, কলকাতা পুলিশের তাবড় কর্তা রাজীব কুমারের নামেই কাঁপত এই সুব্রত বাইন! সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে ঢাকায় ৩০ টি খুনের মামলা রয়েছে বলে সেখানের মিডিয়ার দাবি। বাংলাদেশের বহু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০০৩ সালে সুব্রত ভারতে পালিয়ে আসে। এরপর বাংলার অপরাধ জগতের সঙ্গে তার যোগ শুরু হয়। তখনই সে নজরে আসে কলকাতা পুলিশের। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ তাকে ২০০৮ সালে গ্রেফতার করে। বেশিদিন কলকাতার শ্রীঘরে থাকতে হয়নি! এরপর সুব্রত জামিন পেয়ে চলে যায় দুবাইতে। পরে কলকাতার এক ফিল্মস্টারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা চেয়ে বসে সুব্রত। ফের কলকাতা পুলিশের ব়্যাডারে চলে আসে সে। ২০০৯ সালে ২২ সেপ্টেম্বর এক ফোন কল সূত্রে তাকে ধাওয়া করে কলকাতা পুলিশ। সুব্রত যায় নেপালে। সেখানের জেলে বন্দি হয়। পরে ২০১২ সালে নেপালের জেরে বাঁশ আর ছুরি দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সে। সেই সুড়ঙ্গপথেই জেল থেকেও পালায়। এরপরও নানান ঘটনা পর্বের মধ্যে দিয়ে যায় সুব্রত। শেষমেশ আজ বাংলাদেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়।