ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন হতে চলেছে বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভুত্থানের পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসেন। আজ সেই ঘটনার এক বছর পূর্তি। আর সেই দিনেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল মহম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার। মঙ্গলবার রাত আটটার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই জানান আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। রমজানের রোজার আগে অনুষ্ঠিত হবে বহুকাঙ্খিত নির্বাচন।
বাংলাদেশে শুরু ভোটের তোড়জোড়
দেশের উদ্দেশ্যে এই দিন মহম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা। নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ পরের বছরের ভোটের জন্য এখন থেকেই যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে, তাও জানান মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।’
আরও পড়ুন - বাংলার ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে FIR-র নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের! সাসপেন্ড... কী ঘটেছে?
জুলাই গণঅভুত্থানের শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা
মঙ্গলবারই জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দাঁড়িয়ে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভুত্থানের শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ বলে ঘোষণা করে। ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
আরও পড়ুন - ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উপর ‘যথেষ্ট’ হারে শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা! হুমকি ট্রাম্পের
দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আশ্বাস
মহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি এই দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ সরকারের যাবতীয় অপরাধের দ্রুত বিচার করার অভিপ্রায়ও এই দিন ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিগত ১৬ বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামকালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’