এবার কাশ্মীর নির্বাচনে আসন নিয়ে কাটল জোটের জট। শীর্ষ নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর ন্যাশানাল কনফারেন্স আর কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়ে গেল। সোমবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়সীমা শেষের মুখে ফারুখ এবং ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠকে করেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল এবং সলমন খুরশিদ। অবশেষে সেই বৈঠকে দু’পক্ষ এক মেরুতে এল। কটি করে আসনে লড়ছে দুই দল? এই প্রশ্ন এখন ভূস্বর্গের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জম্মু–কাশ্মীরে। তবে এই নির্বাচনে চাপে আছে বিজেপি।
এদিকে পাঁচটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সালেম পন্ডিত। তবে এবার আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলল কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। তারই মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে। সোমবার কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু তারপরই সেই তালিকা প্রত্যাহার করে নেয়। তারপর আবার সামনে চলে আসে নতুন প্রার্থী তালিকা। তবে প্রার্থীর সংখ্যা তখন কমে হয় ১৫। ইন্ডিয়া জোটে থাকা এই দুই দল এখন বিজেপিকে এখানে হারাতে মরিয়া। তাই হাতে হাত রেখেছে এনসি।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবন ঘিরে ফেলল পুলিশ, আশঙ্কা কোথায়?
অন্যদিকে ভূস্বর্গের ৯০টি আসনের বিধানসভায় ৫১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ন্যাশানাল কনফারেন্স। আর কংগ্রেস প্রার্থী দেবে ৩২টি আসনে। পরে তারিক আহমেদ কাররা জানান, আরও দু’টি আসন ছাড়া হবে সিপিএম ও প্যানথার পার্টিকে। যদিও পাঁচটি আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম দুই দল। বিজেপির এই প্রার্থী তালিকা দেওয়া এবং প্রত্যাহার করা, পরে আবার দেওয়া ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম তালিকায় বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের নাম ছিল না। তাঁদের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীরের ইউনিট সভাপতি রবিন্দর রায়না এবং দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কাবিন্দর গুপ্তা এবং নির্মল সিংয়ের নামও বাদ পড়ে যায়। তাই টানাপোড়েন শুরু হয় দলের অন্দরে।